রাধামাধব মণ্ডল
“ভাদু ভেবে চল, ময়ূরাক্ষী ক্যানেলে জল/ পা পিছলে পড়ে গেলে, পাবি নাকো তল”
হাওয়ার গাড়ি এগিয়ে যাচ্ছে! তিনি গান বাঁধেন, মনের আনন্দে! জীবনের গান! নিজের লেখা কলিতে নিজেই সুর করে গান গাইতে যান, গাঁয়ে গাঁয়ে। কেউ পয়সা দেয়, কেউ কেবলই কাগজের মানপত্র আর একটা পদক! এসব এখন চান না! মনে মনে বিরক্ত আছে। ঘরে যে বড়ো অভাব! শরীরের তেজও পরেছে দিনান্তের নিয়মে! বিড়ি বাঁধেন বাড়িতে বসে! আর সুতোর আড়াই প্যাঁচে গুনগুন করে গেয়ে ওঠেন সুরের কলি! বীরভূমের প্রান্তিক এলাকায় থেকে লড়াই করা মানুষটিকে আজ কে না চেনেন।
বাদশার দৌলতে বহু আবর্তিত হয়েছে তাঁর বড়ো লোকের বেটি! তিনি অভাবে অভাবে, লড়াই করতে করতে কোনো রকম টিকে রয়েছেন গানের ভেলায়। যে গান একদিন ভালোবাসার আশ্রয় ছিল, সেখানেও ভাঁটা পড়ে একসময়! তবে যে গানের জন্য সংসার বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পথে এগিয়ে গেছিলেন, সেই গানের প্রেমেই একদিন আবার এসে পড়ে ছিলেন তিনি। আজও সেই গানকে নিয়েই অস্তিত্বের আন্দোলনে রয়েছেন দাঁড়িয়ে বীরভূমের প্রাচীন এই গানওয়ালা রতন কাহার!
“বড়লোকের বিটি লো / লম্বা লম্বা চুল; এমন মাথা বিন্ধে দিব / লাল গেন্দা ফুল৷”
বয়সের তোড়জোড় শুরু হয়েছে! এবার সূর্য ডোবার বেলা! ভাঙতে শুরু করেছে উৎসাহ! তবুও কাঁচা শীতের ভোরে আজও মানুষটি হাঁটেন সিউড়ির পথে পথে। তিনি বাংলার প্রাচীন সাধন সংগীত টহলকে এখনও নিজের ভাষায় গান, নিজের কলির সুরে। জীবনের উপান্তে পৌঁছে মানুষটি হেমন্তের শীত কাতুরে ভোরবেলা এখনও নিজের সুরের দোলায় গান গেয়ে গেয়ে ফেরেন ভাঙাচোরা গলায়।
আজও এই অঞ্চলে তিনিই বাঁচিয়ে রেখেছেন রাঢ বাংলার হারাতে বসা প্রভাতী সাধন সংগীত টহলকে। একক পথ পরিক্রমা করে তিনি এ-গান গেয়ে ফেরেন, শুধু জীবিকার টানেই নয়, অস্তিত্বের চিন্তা করেও। এই টহল গানের মাধ্যমেই তাঁর খ্যাতি এবং গলার রেওয়াজ করার শুরু হয়েছিল, সেই কবে। নিজের মতো করে সাজানো তাঁর গান জীবন! কীর্তন আঙ্গিকের ঢংয়ে তিনি বলেন, মন ভালোর জন্য বাঁধা গান
“কালো কি ছুঁলে কালো হয়/ওহে রাই তোমারে শুধাই।/পদ্মপুষ্প হয় না কালো, ভ্রমর বসে মধুখায়/ আমায় ছুঁলে হবে কালো জেনেছো কি রাই কিশোরী /শীঘ্র করে খুলে ফেল পরণের ওই নীল শাড়ি।”
রাঢ় বাংলার মাটি পথে, রাঙা ধূলোয় খঞ্জনি বাজিয়ে কীর্তন গাওয়া, এ-মাটির অতি প্রাচীন এক সংস্কৃতি।কার্তিকের শুরুর দিন থেকে সংক্রান্তি পর্যন্ত নগরের পথে পথে এগান আজও গাওয়া হয়। এই অঞ্চলে এই ধারা ধরে রেখেছেন বীরভূমের এই নগর কীর্তনীয়া। নিজের ঢংয়ে তিনি এই গান গায়।
এই সাধন সংগীত নিয়ে বলতে গিয়ে স্মৃতিমেদুর শিল্পী বলে উঠেন, ‘ছোটবেলায় শিল্পী অন্ধ নেপাল দাসের থেকে টহলের কয়েকটা পদ শুনেছি। সেই গাই ভোরবেলায়। দীর্ঘ পথে তাতে নিজের কিছু যোগ করেছি।”তিনি নিজেও প্রভাতী সাধন সংগীত টহল গান বেঁধেছেন অজস্র। আজ সে- গান-ও বেশ জনপ্রিয়। জানা যায় রতন গানওয়ালা এযাবৎ প্রায় দু’হাজারেরও বেশি গান লিখেছেন।
সিউড়ি শহরের চার নম্বর ওয়ার্ডের সে দিনের নগরী গাঁয়ের লম্বা মাটির উঠোন! তারই মাঝখানে দোচালা মাটির ঘর! পাশাপাশি ছোট ছোট মাটির বহু ঘর প্রতিবেশীদের। সেখানেই চাঁদপানা ছোট্ট মেয়েটার একঢাল চুলে লাল ফিতে দিয়ে খোঁপা বাঁধতে বাঁধতে নিজের ট্র্যাজিক জীবনের কাহিনি তরুণ লোকশিল্পীকে শুনিয়েছিলেন কুমারী মা। পতিতা মায়ের গল্প। তন্ময় হয়ে সে গল্প শুনছিলেন সেদিনের রতন, জ্যোৎস্না ফুটেছিল আকাশে।
পিতৃপরিচয়হীন নিজের একরত্তি মেয়েটা সম্পর্কে কথায় কথায় বলেছিলেন কুমারী মা, ‘এই যে এত্ত চাঁদ রূপ মেয়ের, হবে না-ই বা কেনে? জানিসই বড়লোকের বিটি আছে বটে’। মা চেনে বাবার পরিচয়! এই গল্প থেকেই জন্মায় কালজয়ী সেই গান, ‘বড়লোকের বিটি লো’। তবে রতন কাহার এর গান বাঁধার ক্ষমতা ছোট থেকেই। ১৯৭২ সাল সেটা, তারও আগে হতে পারে। সে দিনের সেই তরুণ শিল্পী রতন কাহার এখন অশীতিপর। তিনি এই গল্প শোনার পর বেঁধেছিলেন এই গান! মাটির কথায়, ভালোবাসার গান। তাতে বসিয়েছিলেন নিজের মতো করে মাটির সুর! রজত কুমার সাহার মাধ্যমে, রতন কাহারের থেকে খাতা নিয়ে তিনটি গান গাইবার জন্য নেন স্বপ্না চক্রবর্তী। তাতেই বেজায় খুশি হয়েছিলেন রতন।
১৯৭৬ সালে গানটির রেকর্ডিং করেন স্বপ্না চক্রবর্তী৷ তারপর সেই গান অশোকা রেকর্ড কোম্পানির দৌলতে লোকের মুখে মুখে ফিরতে শুরু করে৷ জয় করে আপামর বাঙালির মন। জেতে গোল্ডেন ডিস্ক পুরস্কারও৷ এখনও একই রকম জনপ্রিয় গানটির স্রষ্টা রতন, যাত্রাপথের আনন্দ দুঃখে শুরুটা করেছিলেন আলকাপ দিয়ে। যাত্রার দলে ডাগরআঁখির ‘ছুকরি ’ সাজতেন৷ সং সাজতেন, রঙের ছোঁয়াতে। তাতে দু’চার টাকা পেতেন। তাতেই আনন্দ নামতো ছাঁচ উঠানে। গড়িয়ে যেত বেলা। পরে তিনি নিজেই নিজের উদ্যোগে তৈরি করেন ভাদু গানের দল৷ বহু রাজনৈতিক মঞ্চের পাশাপাশি নানা ধরনের অনুষ্ঠানে সে দল নিয়ে গেছেন রতন কাহার। বেঁধেছেন অজস্র ঝুমুর গান৷ নেচে নেচে সে সব গেয়েছেনও, নিজের দেওয়া সুরে।
পুরস্কার, শংসাপত্র এত পেয়েছেন, যে একচিলতের ঘরে আর তা রাখার জায়গা নেই৷ এসব দিলে, মনে আনন্দও হয় না আর! এখন টাকা পেলে ছেলেদের হাত তুলে দেন, তাতেই বেজায় খুশি হয় গানওয়ালা রতন। সরস্বতীর বরপুত্রর লক্ষ্মীলাভ হওয়া সহজ কথা নয় কোনদিনই৷ গাঁয়ের মানুষের এমন লক্ষীলাভ ক’জন দেখেছে! এই গান ব্যস্ত মানুষটাই একদিন গান ছেড়ে দেওয়ার পথ ধরেন। অভাব আর হতাশায়। চলে আসতে চান গানের পথ ছেড়ে! সাংসারিক তীব্র অনটনের কারণে এমনই স্থির করে জীবিকার প্রয়োজনে হাঁটতে শুরু করেন শ্রমের পথে! একসময় নিরন্তর দারিদ্রের সঙ্গে লড়তে লড়তে একেবারে বন্ধ হয়ে যায় গান বাঁধা৷ তবে কি তাতে মন টেকেনি বেশিদিন।
সেই সঙ্কট না কাটিয়েও একসময় রতন কাহার আবার গানে ফেরেন ! তবে তখনও এই গানপাগল মানুষটার ভদ্রলোকি খ্যাতি জোটেনি তেমন। তবে আজ মানুষের মনের কুলঙ্গিতে ঠাঁই পেয়েছে তাঁর সুর৷ বীরভূমের প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দা মানুষটা বিড়ি বেঁধে, খেতে কাজ করে সংসার চালিয়েছেন বহুদিন৷ ছোট বেলায় মামার বাড়িতে ঠাঁই হয়েছে তাঁর। সে অনেক বড়ো ইতিহাস। বাপের ভিটেতে কেউ কখনো গানের জগতে ছিল না। ছিল না কাহারের জীবিকাতে। তবে মামার বাড়িতে সবাই আলকাপ গাইতেন। তার প্রভাব রতনের উপর পড়েছে।
প্রথম স্ত্রী মারা যায়। এক সন্তানকে রেখে। তাঁকে মানুষ করতে দ্বিতীয় বার বিয়ে করেন। তাঁর গর্ভেই তিন ছেলে নারু গোপাল, প্রভাত ও শিবনাথ এবং এক মেয়ে শ্রাবণীর জন্ম। কেউই তেমন স্কুলের গন্ডি টপকাতে পারেনি পয়সার অভাবে৷ মেয়েটা ভালো গান গাইতো, কিন্তু একটা হারমোনিয়ামও কিনে দিতে পারেনি অসহায় বাবা রতন কাহার৷ মেয়েও বাবাকে নিয়েছে নিজের মতো করেই। নগর পাড়ার এক উঠানে গোটা পরিবারটি এখনও এক সঙ্গে থাকে।
রতন গানওয়ালা পারে না অন্য কাজও করতে! দ্বিতীয় স্ত্রী সেউড়া কুড়ি গ্রামের মেয়ে শান্তি কাহারও, সারা জীবন শিল্পীর পাশেই দাঁড়িয়েছেন। এখন সম্বল সরকারি ভাতা এবং অনুষ্ঠান করে পাওয়া, যখন যেমন জোটে, ওই ক’টা টাকা! ভেঙেছে শরীরের দেওয়াল! কৃষ্ণ কালো মাটির উপর দাঁড়িয়ে দুই চোখের কিনারে চলকে ভেসে আসে এক উজ্জ্বল আলো! তাতেই গিয়েছেন নিজের নৌকায় বিস্মৃতির আড়ালে৷ কে আর কদর করে তাঁর! আজ কেবল দূরে মজা নদীর তীরে দাঁড়িয়ে থাকা, সেদিনের ভগ্ন বাতিঘরের মতো! ঐতিহ্যেই আনন্দ! বাঁচার আনন্দ।
লোক সংগীতের রসিক লোক ছাড়া, আর সকলেই তাঁকে নিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্যই করেছে জীবনভর! রতনের বাবা অচল ও মা টুকটুকি কাহার ছিল শ্রমজীবী মানুষ। হতদরিদ্র পরিবারের চার ছেলের বড়ো ছিলেন রতন কাহার। ভাইরা কেউ সংস্কৃতির জগতে আসেনি। রতন কাহার এর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল সেই কুমারী, যে মা নিজের জীবনের সব গল্প বলেছিল রতনকে৷ ওঁর জীবনের আশ্রয়দাত্রী ছিল হরিদাসী৷ সেই প্রৌঢ়ার একটা ঝুমুরের দল ছিল৷ ওঁর কাছে থেকেই সুর নিতে গিয়ে তখনই আলাপ, পরে কাছাকাছি৷
সেই তরুণীর গল্পে এতটাই ডুবে গিয়েছিলেন, যে গানটা লেখার সময় ওই গল্পটাই মাথায় ঘুরছিল রতনের৷ ইশারায়-ইঙ্গিতে সেই মেয়েকে বাবুর বাগানে দেখা করতে বলত তার প্রেমিকটি৷ অল্প বয়সে না বুঝে সেই ফাঁদে পা দিয়ে ফেলে মেয়ে৷ যখন টের পায় শরীরে তখন নতুন প্রাণের সঞ্চার ঘটেছে! তখন পিতৃত্ব অস্বীকার করে প্রেমিক৷ সে তো তথাকথিত বড় ঘরের সেদিনের পরিচিত ছবি৷ শুরু হয় জীবনের টানাপোড়েনের লড়াই। তাই তার ঔরসে জন্মানো নিষ্পাপ শিশুটিকে উদ্দেশ্য করেই তৈরি হয় “বড়লোকের বিটি লো” গানটি। পরে তাঁর আরও একটি গান সুপরিচিত হয়।
“রাবন পালারে পালারে রাবন, পালারে/ লঙ্কায় গিয়েছে হনুমান ”
একসময় চুটিয়ে কাজ করেছেন আকাশবাণীতে৷ মলয় বিকাশ পাহাড়ি তাঁকে নিয়ে গিয়েছিলেন ভালোবাসার আকাশবাণীতে। সেই কলকাতার শহর চেনা! পায়ে পায়ে রোদ! দূরদর্শনেও করেছেন নিয়মিত কাজ! দুই মাধ্যমেই নিয়মিত কাজ করেছেন তখন, একটানা বেশ কয়েক বছর। ভেবেছিলেন জয় বুঝি এলো এবার! অভিমান জড়ানো গলায় বলেন, ‘আমাকে নিয়ে অনেকেই ব্যবসা করেছে৷ আমার লেখা , আমার বাঁধা গান নিয়ে এসে রেকর্ড করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, অনেকে৷ সবাই আশ্বাস দেন৷ কিন্তু কিছুই হয় না৷ দুঃখও করি না! ঝরা পাতার আবার দুঃখ কিসের।”
মুহূর্তেই অবশ্য অভিমান হারিয়ে শিশুসুলভ সারল্য ঝরে পড়ে রতনের কণ্ঠে, ‘ওঁরা আমাকে খুব ভালোবাসতেন৷ মলয় বিকাশ পাহাড়ি, আর্য চৌধুরী, আনন গোষ্ঠীর রাজকুমার সাহারা নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন আমার সঙ্গে৷ আনন গোষ্ঠীর সঙ্গেই এসে খাতায় বড়লোকের বিটি লো গানটা লিখে নিয়ে গিয়েছিলেন স্বপ্না চক্রবর্তী৷ তবে তিনি রেকর্ড করার আগেই আমি গানটা গেয়েছিলাম রেডিয়োতে। কথার ফুপি হারিয়ে যায়। ধরিয়ে দেওয়ার মানুষ নেই!
পূর্ণচন্দ্র দাস বাউলও গেয়েছেন রতন কাহারের গান। সেই সময় একটু পরিচিতি তৈরি হয় আমার! তিনি আরও বললেন, আমার এই গান গুলি কিশোরী (দাশের) বাবুর “চন্দ্রভাগা” পত্রিকাতে ছাপা হয়েছিল। আরও বহু কাগজে হয়েছে ছাপা! সময়ের দুর্বার স্রোতে ধীরে ধীরে কাজ কমতে শুরু করে রতনের জীবন থেকে৷ কেন্দ্রের পলিসিতে প্রসার ভারতী তার অনুষ্ঠানটা বন্ধ করে দেয় একসময়। পুরোনো মানুষ যাঁরা ছিলেন, তাঁরা অন্য জায়গায় চলে যায় বদলি হয়ে৷ আর তখন থেকেই রতন কাহারের জীবনে শুরু হয় আপাত অন্ধকারের ভাঁটা। থেমে যায় স্বাভাবিক ছন্দ। রতনের চিরকালের পছন্দের গান মাটির গান। আজও তাই ঝুমুর -ভাদুতেই ডুবে রয়েছেন তিনি৷ এখনও বাঁধছেন নতুন নতুন গান। নতুন প্রজন্ম খোঁজ নেয় না তেমন! তবে কেউ কেউ তাঁর কাছে আসেন আবেগ নিয়ে!
শিলাজিতের জন্য ভাদু গান লিখেছিলেন তিনি৷ এই সময়ের জনপ্রিয় শিল্পী শিলাজিৎ হাজার তিনেক টাকা দিয়ে গিয়েছিলেন রতন কাহারের হাতে৷ তাতে বেশ খুশিই হয়েছিলেন। বিদ্যাসাগর কলেজে অনুষ্ঠান করে খুব প্রশংসা পান, সেই অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে রতনের কথা শুনেছিলেন শিল্পী কালিকাপ্রসাদ৷ ২০১৭ মার্চে শেষ বার সিউড়ির অনুষ্ঠানে আসার পথে, রতন কাহারের বাড়িতে আসারও কথা ছিল! কিন্তু সে সময় দুর্ঘটনায় পড়ে তিনি চলে যান৷
রতন কাহার বেঁচে আছে গাঁয়ের মাটিতেই! এই ভাবনার মানুষের সংখ্যা বাড়লেও, রতন কাহার আজও মাটির গহীন অন্ধকার কোণে বসে বাঁধছেন নতুন নতুন গান। মাটি, মানুষের গান। যে মানুষটা গান কে তার নিজের কন্যাসম মানতেন, গানের কথা সুর কাউকে নির্দ্বিধায় দিয়ে দিতেন, বদলে কেউ টাকা দিতে এলে বলতেন,
“আমি বিটি বিচে টাকা লুবো না।” কেউ জানতেও চায় না আর সেই মানুষটার কথা…
“আমার গান শুনে যান ওগো বাবু, সুখেরই সংসারে /আমি এখন শুখনো পাতা, কখন যাবো পরে। ”
সারাজীবন তাঁর সৃষ্টির “বড়ো লোকের বেটি” তাঁকে শান্তি দেয়নি। সে গল্প, কুমারী মায়ের গল্প যেমন তাঁকে বহুদিন ঘুমাতে দেয়নি, তেমনই গান লেখার পরও স্বীকৃতির টানাপোড়েনে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে শিল্পী রতন কাহার! তিনি যদিও বললেন, তবুও তো “বলিউডের বাদশা নত নম্র হয়েছেন। দেখা করবো বলেছেন। কিন্তু এগানকে নিয়ে বহু কষ্ট হয়েছে ভাই!! ”
(লেখক ও লোক গবেষক)
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584