শ্যামল রায়, কালনা :
কাটোয়া থানা এলাকায় এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুন করার অপরাধে অভিযুক্তদের দশ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল কাটোয়া মহকুমা আদালত।
কাটোয়া মহকুমা আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস বৃহস্পতিবার দোষীদের সাজার কথা ঘোষণা করেন। খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত পাঁচজনকে দশ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন তিনি। অভিযুক্তদের নাম হলো আলাল শেখ আলতাব শেখ ,নাসের শেখ ,মনিরুল শেখ ও মহাই শেখ। প্রত্যেকের বাড়ি সাহেবনগর গ্রামে।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে যে ২০১১ সালের ৬ মার্চ বিকেলবেলা মার্চ থেকে বাড়ি ফিরছিল খুন হওয়া ব্যক্তি । ওই সময় কয়েকজন তাকে পথ আটকে বেধড়কভাবে পিটায়। পিটিয়ে মাঠের মধ্যে ফেলে রেখে তারা পালিয়ে যায়। মারাত্মকভাবে জখম লক্ষণ দাসকে প্রথমে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে পরে কলকাতায় রেফার করা হয়। ঘটনার ৭ দিন পর মৃত্যু হয় লক্ষন দাসের। লক্ষণ দাসের বাড়ি অগ্রদ্বীপ। যারা পিটিয়ে মেরেছে তাদের বাড়ি অগ্রদ্বীপ সংলগ্ন সাহেব নগর গ্রামে। অভিযুক্তদের বুধবার বিচারক দোষী সাব্যস্ত করেন ।এলাকায় বেআইনিভাবে পোস্ত চাষের রমরমা কারবারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন লক্ষণ দাস। তাই তাকে পিটিয়ে মেরেছিল ওই অভিযুক্তরা।
অন্যদিকে কালনায় স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগে তার স্বামীর যাবজ্জীবনের নির্দেশ দিল কালনা মহকুমা আদালতের বিচারক।
বুধবার দোষী সাব্যস্ত হয় বৃহস্পতিবার সাজার কথা ঘোষণা করেন বিচারক তপন মন্ডল।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে যে ২০১৫ সালের ১০ জুন তারিখে স্ত্রী রেখা কীর্তনীয়াকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে স্বামী বাসুদেব কিত্তুনিয়ার বিরুদ্ধে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর পরে রেখা কীর্তনীয়াকে কালনা মহকুমা হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে। পুলিশ খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করে বাসুদেব কীর্তনীয়াকে। শুনানির পর বুধবার দোষী সাব্যস্ত হয় বাসুদেব কীর্তনীয়া। বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত দায়রা জজ বিচারক তপন মন্ডল অভিযুক্ত বাসুদেব কীর্তনীয়াকে যাবজ্জীবনের নির্দেশ দেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584