নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের দায়ে দু’জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও গাড়ির চালককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিল মেদিনীপুর আদালত।২০১৭ সালের ৫ ডিসেম্বর গড়বেতার আউশাবাঁধি গ্রামের গুনধর ঘোষের মেয়ে এম এ পাঠরতা কৃষ্ণা ঘোষ টিউশন পড়িয়ে বাড়ি ফেরার সময় একটি মারুতি গাড়ি তাঁর পথ আটকায়।
গাড়ি থেকে নেমে আসে কলকাতার সৌমিত্র ঘোষ ও পূর্ব মেদিনীপুরের সুশোভন দাস।একটি বেসরকারি আয়ুর্বেদিক কোম্পানির কর্মসূত্রে তারা তাঁর পূর্ব পরিচিত।তাঁকে গাড়িতে তুলে গড়বেতার গনগনিতে নিয়ে যায়। সেখানে জোর করে তারা তাঁকে ধর্ষণ করে ৮০ ফুট গভীর খাদে ফেলে দেয়।
পরদিন আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে পুলিশ ও বাড়ির লোকেরা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।তাঁর দেওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গ্রেফতার করে সৌমিত্র ,সুশোভন ও গাড়ির চালক সঞ্জিত গুপ্তাকে।
এই মামলায় ১৯ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করে আদালত।কলকতার পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন অ্যাম্বুলেন্সে করে স্ট্রেচারে চড়ে তিনি আদালতে স্বাক্ষ্য দিতে আসেন।যদিও জীবনযুদ্ধে হার মানেন তিনি ।রায় ঘোষণার আগেই এবছরের ১৬ এপ্রিল ঐ ছাত্রী মারা যান।
আরও পড়ুনঃ তিন বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে ফের উত্তপ্ত কাশ্মীর
বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের বিচারক সুলগ্না দস্তিদার গাড়ির চালককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও এবং বাকি দুজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ৫ লক্ষ টাকা করে জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেন।নিয়ম অনুযায়ী আর্থিক ক্ষতিপূরণ পাবেন নির্যাতিতার পরিবার। এই মামলার সরকারি আইনজীবী ছিলেন শক্তিপদ দাস অধিকারী।রায় শুনে খুশি নির্যাতিতার পরিবার।তাঁদের আক্ষেপ,মেয়ে রায় শুনে যেতে পারল না।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584