নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা থানার মল্লিকপুরের বাসিন্দা রমজান আলীর স্ত্রী সেলিনা খাতুন গর্ভবতী অবস্থায় চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতাল। হাসপাতালেরই স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ গৌতম পরিহারের নির্দেশে হাসপাতালের ইউএসজি সেন্টার থেকেই তিনি আলট্রাসনোগ্রাফি করান।
প্রথম দফার আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্ট অনুযায়ী দেখা যায় গর্ভস্থ ভ্রুন মৃত, সেই রিপোর্ট অনুযায়ী চিকিৎসক রুগীর পরিবারকে পরবর্তী চিকিৎসা সম্পর্কে জ্ঞাত করেন।কিন্তু রুগীর সাথে কথা বলার ভিত্তিতে চিকিৎসক অন্যত্র আর একবার পরীক্ষা করারা পরামর্শ দেন।
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী রুগীর পরিবার বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ইউএসজি করায়, সেখানকার করা রিপোর্টে দেখা যায় বাচ্চা জীবিত ও সুস্থ রয়েছে।
এরপর ফের সরকারি হাসপাতলে এসে ইউএসজি করালে দেখা যায় সেখানে রিপোর্টে বলছে বাচ্চা জীবিত ও সুস্থ রয়েছে।
এর পরেই ক্ষোভে ফেটে পরে পরিবারের লোকজন। শুক্রবারই চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে প্রসূতির স্বামী।
অভিযোগ,এরপর হাসপাতালে রেডিওলজিস্ট ডাঃ টি কে পালকে পরিবারের লোকেরা সমগ্র বিষয়টি বললে তিনি উল্টে প্রসূতির পরিবারকেই ধমক দেন।সরকারি হাসাপাতালের রিপোর্টে এমন ভুলে হতেই পারে বলেও জানান।
এই সরকারি হাসপাতালে ভুলের নমুনা একটাই নয় এমনটা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তথা হাসপাতাল সুপার গৌতম প্রতিহার।সমগ্র বিষয়টি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের আবেদন করবেন এমনটাই জানিয়েছেন গৌতমবাবু।
আমাদের প্রতিনিধি ঘটনাস্থলে পৌঁছে ডাঃ টি কে পালকে প্রশ্ন করলে তার সাথেও দুর্ব্যবহার করেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ বিজয় মিছিল ঘিরে উত্তপ্ত গঙ্গারামপুর,পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর,শূন্যে গুলি
পরিবারের প্রশ্ন,কার ভুলে এই ধরনের ভুল রিপোর্ট?ভুল রিপোর্টের ফলে যদি ভ্রুনটি নষ্ট হতো তাহলে তার দায় কে নিতো?সরকারি হাসপাতালেও এতটা গাফিলতি সম্ভব?যদিও এসব কোনো প্রশ্নেরই উত্তর নেই কারোর কাছেই।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584