সুদীপ পাল, পশ্চিম বর্ধমানঃ
করোনার হাত থেকে যেভাবেই হোক রাজ্যকে মুক্ত করতেই হবে। আর এই লক্ষেই মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য সরকার থেকে শুরু করে সরকারি দফতর ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা। তাই মঙ্গলবার তাঁরা জনগনকে সচেতন করার জন্য আবারও পথে নামলো।

এদিন হয়তো কোন কাজ ছাড়াই বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন এক বৃদ্ধ। কিন্তু রাস্তায় নামতেই থতমত খেয়ে যান তিনি। দুই হাত দূরে দাঁড়িয়ে রয়েছে স্বয়ং যমরাজ। একেবারে মানুষের মতন গলায় যমরাজ জিজ্ঞাসা করলেন, ‘আপনার মাস্ক কোথায়?’ বৃদ্ধ ঘাবড়ে গিয়ে বললেন, ‘বাড়িতে আছে। ভুলে গিয়েছি’। উত্তরে যমদেব বললেন, ‘তাহলে বাড়ি যান। মাস্ক পড়ুন।’ এমন ভাবেই স্বর্গ থেকে মত্তে নেমে যমরাজ সচেতনতার পাঠ শেখাচ্ছেন দুর্গাপুরের জনগণকে।

আরও পড়ুনঃ আবারও করোনা আক্রান্ত সন্দেহে মৃত রোগীর রির্পোট ‘নেগেটিভ’
এদিন দুর্গাপুরের নাট্য সংস্থার সাথে যুক্ত দুই ব্যক্তিকে দিয়ে এভাবেই শিল্পাঞ্চলকে সচেতনতার পাঠ করানো হচ্ছে। এখানে এক ব্যক্তি সেজেছেন ‘করোনা ভাইরাস’ আর এক ব্যক্তি ‘যমরাজ’। আর এভাবেই দুর্গাপুরের বাজারে ক্রেতা, বিক্রেতাদের এবং সাধারণ মানুষকে সচেতনতার পাঠ দিতে এই অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে দুর্গাপুর মহকুমা প্রশাসন, কোক ওভেন থানা, দুর্গাপুর পুরসভার ৪ নম্বর বোরো অফিস এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা স্বপ্ন উড়ান গোষ্ঠী।
তবে এ বিষয়ে ৪ নম্বর বোরো চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন ‘সব জেনে বুঝেও মানুষ ভুল করছে। অথবা ইচ্ছাকৃত ভাবে নির্দেশ মানছেন না। সকলকে সচেতন করার জন্যই এই পথ নেওয়া হয়েছে। কথিত আছে যম মৃত্যুর দূত। তাই মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচতে যমকে সকলেই ভয় পায়। তাই ভয় দেখিয়েই মানুষকে মাস্ক ব্যবহার করানোর জন্যই, এই ব্যবস্থা।’
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584