নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব মেদিনীপুরঃ
নুতন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পূর্ব মেদিনীপুরে বাড়ার ফলে রেড জোনে রয়েছে পুরো জেলা।সংক্রমন বাড়ার ফলে জেলাবাসীকে সতর্ক করছেন জেলা প্রশাসন। হলদিয়ার জয়নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে করোনা পজিটিভ পাওয়ার পর নড়েচড়ে বসে প্রধান।
লকডাউন বিষয়ে বরাবরই তৎপর রয়েছে প্রশাসন তবে আরও কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা গেল বিশেষ করে ‘মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক’ নির্দেশ জারির পর। নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে আবারও পথে নেমেছে পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ বন্ধ চাকা তবু বদলে গেল নাম! রাধিকাপুর-হাওড়া এক্সপ্রেস হলো কুলিক এক্সপ্রেস
প্রথমত লকডাউন, দ্বিতীয়ত করোনা সংক্রমণ এড়াতে রাস্তায় একে অপরের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা ও মাস্ক ব্যবহার বিষয়ের উপরেই বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে প্রশাসন। মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক হওয়ার পর রাস্তায় মাস্ক ছাড়া ব্যক্তিদের আটক করা ও দূরত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রে বিশেষ করে মোটরবাইকে একাধিক জন দেখা গেলে বাইক সহ বাইক চালককেও আটক করছে স্থানীয় দূর্গাচক থানা।
হলদিয়া দূর্গাচক থানা এলাকায় পাথরবেড়িয়া রেড জোন হিসাবে চিহ্নিত করণ হয়েছে। জয়নগর পঞ্চায়েত এলাকার আশা কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিদর্শন করছেন। তার সঙ্গে পঞ্চায়েত প্রধানও মাস্ক বিলি করতে এলাকায় যান।
পাথরবেড়িয়া এলাকাবাসী পঞ্চায়েত প্রধানকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখায় এবং মাস্ক বিলি করতে বাধা দেয়।এলাকাবাসীর অভিযোগ যে তারা ঠিকমতো রেশন পায় না ,খাদ্যদ্রব্য পায়না তাদের খাবার ব্যবস্থা করুন। তারা লকডাউন অমান্য করে। ঘটনাস্থলে দুর্গাচক থানার বিশাল পুলিশবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদেরকে বারবার জানানো হয় যে, আপনারা বাড়ির মধ্যে থাকুন। আপনাদের যা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তা বাড়ির মধ্যেই পৌঁছে যাবে। জয়নগর পঞ্চায়েত প্রধান রবীন্দ্রনাথ পাই স্বীকার করেন যে, সরকারি রেশন পত্র সমস্ত ডিষ্ট্রিবিউশন হয়েছে, অযথা বাধার মুখে পড়তে হয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584