শ্যামল রায়,কাটোয়াঃ
অগ্রদ্বীপের ভাগীরথীর ভাঙন রোধে বালির বস্তা ফেলা নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে এলাকাবাসী ৷প্রায় চার দশকের উপর ধরে কাটোয়া মহকুমার অগ্রদ্বীপের ভাঙন অব্যাহত। বারবার ভাগীরথীর ভাঙন রোধে বালির বস্তা ফেলে ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করেছে সেচ দফতর , কিন্তু কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
দীর্ঘদিন ধরে ঠিকঠাক ভাঙন রোধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকার বাসিন্দারা। অথচ প্রতিবছর বর্ষাকালে ভাগীরথীর ভাঙন চরম আকার ধারণ করে।বুধবার অগ্রদ্বীপের ভাগীরথীর ভাঙন রুখতে চরসাহাপুর গ্রামের ভাগীরথীর জলে বালির বস্তা ফেলেছে সেচ দফতর । এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন যে প্রতিবছরই ভাঙন কবলিত এলাকায় বালির বস্তা ফেলে ভাঙন রোধের ব্যবস্থা নেওয়া হয় কিন্তু ভাঙনকে আটকে রাখা যায় না ৷ কখনো কখনো চাষযোগ্য জমি, কখনো রাস্তা কখনো বাড়িঘর গঙ্গার ভাঙনে তলিয়ে যাচ্ছে প্রতি বছরই । এর আগে অগ্রদ্বীপ থেকে নদীয়া পর্যন্ত যে রাস্তা গঙ্গা গর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছিল, সেই রাস্তা আজও তৈরি হয়নি ফলে এলাকার বাসিন্দাদের যাতায়াত করতে সমস্যা রয়ে গিয়েছে।
এ বছর ও ভাঙনের কবলে পড়েছে ভাগীরথী তীরবর্তী এলাকা তামাঘাটা, মাজিদা ,পাটুলি এবং পূর্বস্থলীর কিছু অংশ । অথচ ভাঙন কবলিত এলাকায় সেচ দফতর কোন চিরস্থায়ী ভাঙন রোধের ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ । বর্তমানে বালির বস্তা ফেলে ভাঙন রোধের ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছে সেচ দফতর , কিন্তু কাজের কাজ কতটা হবে এই প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা।এই নিয়ে স্থানীয় বিধায়ক সিপিএম নেতা প্রদীপ সাহা বারবার রাজ্য সরকার সহ কেন্দ্র সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও কাজের কাজ হচ্ছে না বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুনঃ নারী সুরক্ষা নিয়ে আন্দোলনে এবিভিপি
প্রধান নিতাই সুন্দর মুখার্জী জানিয়েছেন যে বিষয়টি আমরা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি তবে আপাতত বালির বস্তা ফেলে সাময়িকভাবে ভাঙন রোধের ব্যবস্থা নেওয়ার কাজ হচ্ছে এর ফলে কিছুটা হলেও মানুষ চিন্তার হাত থেকে রেহাই পাবেন সাময়িক ভাবে ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584