শুভব্রত সরকার, নিউজ ফ্রন্টঃ
সমুদ্রের গর্জন মানুষকে মনে করিয়ে দেয় প্রকৃতির ভাষাকে। সমুদ্র সৈকতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মানুষকে টেনে নিয়ে আসে বার বার তার কাছে। সেই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের খোঁজে নিউজ ফ্রন্ট পৌঁছে গিয়েছিল তামিলনাড়ুর রাজধানী চেন্নাই শহরে বঙ্গোপসাগরের নিকটবর্তী করমণ্ডল উপকূলে অবস্থিত মেরিনা সমুদ্র সৈকতে।
এটি একটি প্রাকৃতিক বালুকাময় দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত। ভৈগোলিক অবস্থান বলছে এই অঞ্চলটি ১৩ কিমি দীর্ঘ ও ৪৩৭ মিটার চওড়া। দিক অনুসারে এটি উত্তর দক্ষিণে অবস্থিত।
ইতিহাস বলছে ষোড়শ শতাব্দীর আগে ভৌগোলিক কারণে সমুদ্র কিছুটা পিছিয়ে গেলে এখানে কয়েকটি বালির শিরা ও উপহ্রদ জেগে ওঠে। বর্তমানে এই বালির শিরার উপরে সৈকতটা অবস্থিত। ১৮৮৪ সালে সৈকত বরাবর পায়ে চলা পথ নির্মাণ করেন তৎকালীন মাদ্রাজ গভর্নর ডাফ। যেটির দৈর্ঘ্য বর্তমানে ৬ কিমি। সেই বছর এটিকে মাদ্রাজ মেরিনা নামকরণ করা হয়েছিল।
বর্তমানে এই সৈকতটি অকৃতিম সৌন্দর্য, প্রফুল্ল পরিবেশ ও ইকোসিস্টেমটের জন্য বিখ্যাত। চেন্নাই কর্পোরেশানের অধীনে থাকা এই সমুদ্র সৈকতের প্রাকৃতিক সোন্দর্যকে উপভোগ করতে আসে প্রতিদিন প্রায় ৩০ হাজার পর্যটক।
এই সৈকতের পার্শবর্তী অঞ্চলের রয়েছে একাধিক পাথরের মূর্তি যা এখানকার বিশেষ বৈশিষ্ট । এখানে রয়েছে মহাত্মা গান্ধী, তিরুবল্লবপুর, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম. জি. রামচন্দ্রন, আন্নার স্মৃতিসৌধের মতো দর্শনীয় স্থান।
২০০৪ সালে সুনামি এই সৈকতে কেড়ে নিয়েছিল প্রায় শতাধিক মৎসজীবীর প্রান। এখানকার জলের অন্তর্নিহিত স্রোত অশান্ত হবার জন্য সৈকতে স্নান করা ও সাঁতার কাটা আইনত নিষিদ্ধ।
আরও পড়ুনঃ ভ্রমণ: প্রেমনগরী মাণ্ডু
বর্তমানের এই অতিমারী পরিস্থিতি প্রকৃতিপ্রেমী পর্যটকদের মনে জমা করেছে কালো মেঘ। করোনা সংক্রমণে রাশ টানতে তামিলনাড়ু সরকার বন্ধ করেছে এই সমুদ্র সৈকত। সেখানে সমুদ্র ডাকলেও সেই ডাকে সাড়া দিতে মানুষ পৌঁছাতে পারছে না তার কাছে। এই অবস্থা কিছুটা প্রভাব ফেলেছে পর্যটক নির্ভর স্থানীয় ব্যবসায়ীদের উপর। তারা চাইছেন করোনা বিধি মেনে খোলা হোক এই সৈকত।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584