সুদীপ পাল, বর্ধমানঃ
দূরত্ব ৫২ কিলোমিটার। কিন্তু ট্রেনে আসতে হলে প্রথমে যেতে হবে আসানসোল তারপর সেখান থেকে রানীগঞ্জ। ৫২ কিলোমিটার সড়ক পথের দূরত্ব রেলপথে হয়ে দাঁড়ায় ৯৪ কিলোমিটার। এই পরিস্থিতিতে রানীগঞ্জের বাসিন্দারা বাঁকুড়া পর্যন্ত রেলপথ তৈরির দাবি জানাচ্ছেন।
রানীগঞ্জের বিধায়ক রুনু দত্ত বলেন, রানীগঞ্জ স্টেশন থেকে বাঁকুড়ার দুর্লভপুর ডিভিসির মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দূরত্ব কুড়ি কিলোমিটার।
বিদ্যুৎকেন্দ্র ওই এলাকায় নিজস্ব সামগ্রী পরিবহনের জন্য রেললাইন পেতেছেন। তাই দুর্লভপুর থেকে বাঁকুড়া পর্যন্ত রেল লাইন সম্প্রসারণ হলেই সমস্যা মিটে যাবে।
আরও পড়ুনঃ পীরতলার ঐতিহ্যবাহী বাউল উৎসব ঘিরে উদ্দীপনা
রাণীগঞ্জ থেকে বাঁকুড়া রুটে ৫০টিরও বেশি বাস যাতায়াত করে। জামুড়িয়া, রানীগঞ্জ এলাকার বাসিন্দারা বাঁকুড়া মেডিকেল কলেজের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু শুধু সড়ক পথে যোগাযোগ সমস্যা হচ্ছে ব্যবসার ক্ষেত্রেও। তার প্রভাবও পড়ছে বলে জানান ফেডারেশন অব সাউথ বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের রাজেন্দ্র প্রসাদ খেতান।
আসানসোল পুরসভার মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন এই রেলপথ চালু হলে বাঁকুড়ার অর্থনীতি চাঙ্গা হবে বলে জানিয়েছিলেন।
কিন্তু তারপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হয়ে যান। আর নতুন কোনো পদক্ষেপও গ্রহণ করেনি রেল। আসানসোল ডিভিশনের আধিকারিকরা বলছেন, এই এলাকার তৈরীর পরিকল্পনা আপাতত নেই।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584