হাতি তাড়াতে হুলার আগুনে আহত পড়ুয়া,বন দফতরের উদাসীনতায় ক্ষোভ

0
61

নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ

গত চার পাঁচ দিন ধরেই গোয়ালতোড় বনাঞ্চলের শাখাভাঙ্গা, ধরমপুর, কদমডিহা দেবগ্রাম প্রভৃতি গ্রামে প্রায় ৪০-৫০ টি হাতির পাল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। অথচ বন দফতরের পক্ষ থেকে হাতি তাড়ানোর কোনো ব্যবস্থাই গ্রহণ করা হয়নি।

protest | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

এর ফলে আলু সহ মাঠের শীতকালীন বিভিন্ন সব্জির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি গ্রামে প্রবেশ করে বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করছে হাতির পাল । বন দফতরের এই উদাসীনতার কারণে গ্রামবাসীরা নিজেরাই হাতি তাড়ানোর উদ্যোগ নেয় ।জানাগেছে ,সেই হাতি তাড়াতে গিয়েই শুক্রবার রাতে হুলার আগুনে পুড়ে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় এক স্কুল পড়ুয়া।

আরও পড়ুনঃ জীবন যুদ্ধে জয়ী জয়ের নতুন ঠিকানা মানিকপাড়ার সরকারি হোম

আহত ওই ছেলেটিকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা তো দূরের কথা তার খোঁজখবর পর্যন্ত নেয়নি বন দফতরের আধিকারিকরা। তাদের এই উদাসীনতার কারণেই বন দফতরের কার্যালয়ে এসে বিক্ষোভ দেখাল স্থানীয়রা। যা নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। জানা গিয়েছে, গত প্রায় ৪-৫ দিন ধরে ধরমপুরের জঙ্গলে হাতি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।

হাতি তাড়ানোর জন্য ধরমপুর, শাখাভাঙ্গা, দেবগ্রামের বাসিন্দারা গতকাল রাত্রিতে একত্রিত হয়ে হাতি তাড়ানোর কাজ শুরু করে সেই সময় একটি হাতি হঠাৎ করেই তুহিন মাহাতো নামের এক একাদশ শ্রেণীর পড়ুয়ার দিকে ছুটে যায়। তাকে বাঁচাতে একজন হুলা ছুঁড়ে দেয় হাতির দিকে৷ কিন্তু লক্ষভ্রষ্ট হয়ে সেই হুলাটি তুহিনের গায়ে লাগে। জলন্ত হুলা গায়ে লেগেই গুরুতর আহত হয় তুহিন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মেদিনীপুর হাসপাতালে পাঠায় চিকিৎসার জন্য।

আরও পড়ুনঃ ফালাকাটায় হাতির হানায় তছনছ বাড়ি

গ্রামবাসীদের অভিযোগ এই ব্যাপার টি রেঞ্জ অফিসে জানানো হলেও কোনো রকম ব্যবস্থা নেয়নি তারা। তাদের সেই উদাসীনতার কারণে এদিন স্থানীয় বাসিন্দারা রেঞ্জ অফিস ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, হাতি তাড়ানোর পাশাপাশি, ফসলের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও আহত তুহিনের চিকিৎসার সমস্ত ব্যবস্থা করতে হবে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here