শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
করোনা সংক্রমণের প্রথম দিন থেকেই রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের উদ্বেগ বাড়িয়েছে মহানগরী শহর কলকাতা। যত দিন গিয়েছে, কলকাতায় সংক্রমণ এবং মৃত্যুর সংখ্যা যেন বেড়েই গিয়েছে। বেশ কিছুদিন কলকাতায় আড়াইশো কাছাকাছি সংক্রমণ থাকার পর সোমবার সংক্রমণ ছুঁয়েছে ২৮১ জনে এবং দৈনিক মৃত্যুর হার দাঁড়িয়েছে ১০ জনে। এই নিয়ে কলকাতায় কড়া পদক্ষেপের লক্ষ্যে এদিন বৈঠক করল রাজ্য প্রশাসন।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সম্পূর্ণ শহর কলকাতা অথবা শহর কলকাতার বেশ কিছু জায়গায় কড়া লকডাউন ঘোষণার পথে হাঁটতে চলেছে নবান্ন। ইতিমধ্যেই দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্য এই পথে হেঁটেছে।
প্রসঙ্গত বুলেটিনে তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে মোট আক্রান্তের এক তৃতীয়াংশই কলকাতায়। এদিনের বুলেটিনে দেখা গিয়েছে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮৬১ জন। তার মধ্যে ২৮১ জন কলকাতার। মহানগরে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭৩৮৯ জন। এই শহরে মৃত্যুও সবচেয়ে বেশি। রাজ্যে করোনায় মৃতদের অর্ধেকের বেশি কলকাতায়। বাংলায় মোট মৃত ৭৭৯, কলকাতায় মৃত্যু হয়েছে ৪২৮ জনের।
আরও পড়ুনঃ রাজ্যে নথিপত্র স্ক্যানের জন্য নতুন অ্যাপ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, ঘোষণা টলিউডের জন্যও
শুধু তাই নয়, পুর কর্মীদের অভিযোগ শহরের বাসিন্দারা অনেক ক্ষেত্রে লক ডাউন এর নিয়ম কানুন মানছেন না।বাসিন্দাদের অসহযোগিতা ফলে পুরসভার মাইক্রো প্ল্যানিংও ধাক্কা খাচ্ছে। কলকাতার পার্শ্ববর্তী হাওড়া ও দুই চব্বিশ পরগনাতেও সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে। কিছুটা চিন্তা বেড়েছে উত্তর ২৪ পরগনাকে নিয়েও।
আরও পড়ুনঃ চিংড়িঘাটা থেকে নিউটাউন পর্যন্ত নয়া উড়ালপুলের ঘোষণা পুরমন্ত্রীর
কিন্তু আপাতত মহানগরীই মাথাব্যথার কারণ স্বাস্থ্য দফতর। সূত্রের খবর, সোমবার সন্ধে থেকেই বাগবাজার, শরৎ বোস রোড, এলগিন রোড, চক্রবেড়িয়া রোড, জাস্টিস মাধবচন্দ্র রোডের মতো বেশ কিছু রাস্তায় ব্যারিকেড দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার নবান্ন থেকে কি ঘোষনা হয়, আপাতত তার দিকেই তাকিয়ে কলকাতাবাসী।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584