সুদীপ পাল, বর্ধমানঃ
‘বুলবুলিতে ধান খেয়েছে খাজনা দেব কিসে’–গ্রামবাংলায় এক সময় এই প্রবাদ ঘরে ঘরে চলত। এখন বুলবুলি নয় বুলবুল পাকা ধানে মই দিল চাষীদের। বুলবুলের প্রভাবে চাষে কী ক্ষতি হয়েছে তা দেখতে জেলার উপ কৃষি-অধিকর্তা (প্রশাসন) জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে দেখলেন। বৃষ্টি এবং দমকা হাওয়ায় বেশ কিছু জমিতে ধান লুটিয়ে পড়েছে। কেটে রাখা পাকা ধান জমির কাদা জলে পড়ে নষ্ট হচ্ছে। চাষীরা আগের বারের তৈরি ফসল ঘরে তুলতে পারেননি– এবারও সেই পরিস্থিতি।

চাষীরা বলছেন, গত আট মাসে চারবার ক্ষতির মুখোমুখি হতে হল তাঁদের। গত ফেব্রুয়ারীতে আলু এবং পেঁয়াজ ওঠার মুখে বৃষ্টির জেরে ক্ষতি হয়েছিল অনেক। তারপর জুলাই-অগস্টে ধান চাষের জন্য জলের অভাবে ভালো চাষ হয়নি। কালী পুজোর আগে অকাল বৃষ্টিতে আনাজে প্রভাব পড়েছিল এবং এখন বুলবুলের জন্য ধান নষ্টের পাশাপাশি আলু চাষে পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
কিভাবে এই সমস্যার মোকাবিলা চাষিরা করবেন সে সম্পর্কে কৃষি দফতর বলছে, ফসল ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে বেশি করে ফসল বীমা করাতে হবে চাষীদের। জেলা কৃষি দফতর বলছে ২০১৭-১৮ সালে প্রাকৃতিক বিপর্যয় হয়েছিল কিন্তু তাতে ফসল মার খায়নি। সে বছর প্রতি হেক্টরে ৪.৬৩ টন ধান উৎপাদন হয়েছিল। কিন্তু এবার ভাতার, মেমারি জামালপুর-সহ নানা এলাকায় দেখা যাচ্ছে ধান গাছ লুটিয়ে পড়েছে মাটিতে।
বর্তমানে জেলার পাঁচ শতাংশ জমিতে ধান কাটা হয়েছে। কাটা ধান জলে পড়ে থাকলে নিচের অংশে ক্ষতি হবে। অসময়ে এই নিম্নচাপের ফলে আলু এবং পেঁয়াজ চাষ পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছে কৃষি দফতর।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584