নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
চিকিৎসার গাফিলতিতে চোখ হারাতে চলেছে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী।কান্নায় ভেঙে পড়ল পরিবার ।চলতি মাসের ১ তারিখে এই চোখের সমস্যা নিয়ে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে আসে পূর্ব মেদিনীপুরের জাহালদার বাসিন্দা বছর ১৫ র বুলটি দাস।জরুরী ভিত্তিতে ২রা ফেব্রুয়ারি মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে তার চোখের অপারেশন হয় কিন্তু অপারেশনের পরের দিন এই ঘটে বিপত্তি।চোখ খুলে একটা নয় সব জিনিসই নজরে আসছে দুটো করে,কখনো আবার চোখে নেমে আসছে গভীর অন্ধকার।চিকিৎসকদের জানালে তারা ভুল বুঝতে পেরে তড়িঘড়ি রেফার করে দেয় “রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অফ ওফ্থালমলজি”তে কিন্তু সেখানেও ডাক্তাররা দেখে ছোট্ট বুলটির চোখ ফেরার আশা দিতে পারলেন না।আর তাই চরম অনিশ্চয়তায় দিন কাটছে ছোট্ট বুলটি ও তার পরিবারের।গোটা ঘটনায় চিকিৎসকের গাফিলতির অভিযোগ তুলে লিখিত বিবরণ দিয়ে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন বুল্টির বাবা।হাসপাতাল সুপার তন্ময় কান্তি পাঁজা গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ বিয়ের আগে আত্মঘাতী তরুণী
প্রসঙ্গত, বুলটি চলতি মোরসুমের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী।এক দিকে চোখ হারানো এবং অপর দিকে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ এই দুই নিয়ে চরম আশঙ্কায় পরিবার।চোখ ফিরে কি আর পাওয়া যাবে?গাফিলতিতে অভিযুক্ত চিকিৎসকের শাস্তি হবে এই প্রশ্নই কুরে খাচ্ছে নিম্নবিত্ত এই পরিবারকে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584