সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ
দুর্গাপুজো পরবর্তীতে বাংলার অন্যতম অনুষ্ঠান লক্ষ্মী পুজো।বাড়ির এই পুজোয় বিভিন্ন রীতি অনুসরণ করা হয়।আশ্বিন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে অর্থাৎ কোজাগরী পূর্ণিমায় দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা করা হয়।কোথাও প্রতিমা,কোথাও ঘট আবার কোথাও মাটির সরার উপর লক্ষ্মীর ছবি এঁকে পুজো করা হয়,কিন্তু ক্রমশই হারিয়ে যাচ্ছে সরায় লক্ষ্মী পুজো করার রীতি।ইতিহাস গবেষক রোহিত মাইতি বলেন,মাটির সরায় লক্ষ্মীপুজোর প্রচলন এপার বাংলার থেকে ওপার বাংলায় বেশি এবং সম্ভবত ওপার বাংলা থেকেই এই ধারাটি এখানে এসেছে।একসাথে বসবাসের ফলে এপার বাংলার মানুষও এই ধারাটি আত্তীকরণ করেছে।অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘বাংলার ব্রত’ বইতে এই লক্ষ্মী পুজোর সম্পর্কে বিস্তৃত আলোচনা করেছেন।অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন,আলপনা আসলে ‘কামনার প্রতিচ্ছবি।’ কাঠের জলচৌকির উপর লক্ষ্মীর সরাটিকে স্থাপন করা হয়।তারপর কলাপাতায় টাকা,স্বর্ণ মুদ্রা,ধান,পান,কড়ি,হলুদ ও হরিতকি দিয়ে সাজানো হয় পুজো স্থানটিকে।
বর্ধমানের অনেক দোকানে সরায় লক্ষ্মী প্রতিমা আঁকা বিক্রি হলেও তা ক্রমশ কমে আসছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।রোহিতবাবু বলেন,মাটির সরায় লক্ষ্মী পুজো করার রীতি ক্রমশই হারিয়ে যাচ্ছে,সরায় শুধুমাত্র দেবী লক্ষ্মীর ছবিই নয় সমাজের প্রতিচ্ছবিও ফুটে উঠত।এই লোকশিল্পের ধারাটিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য সচেষ্ট হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ রেকর্ডঃ ভারতে প্রথমবার ডিজেলের দাম ছাড়িয়ে গেল পেট্রোলের দামকেও
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584