সিমা পুরকাইত,দক্ষিন ২৪ পরগনাঃ
হাসপাতালের ঘরটাতে ঢুকতেই একজন নতুন মুখগুলো দেখে হেসে উঠল খিলখিলিয়ে।আর অন্যজন যেন অবাক দৃষ্টিতে চেয়ে দেখছে সব্বাইকে।নার্স দিদি মনিদের কাছ থেকে একজন নাম পেয়েছিল সুন্দরী আর অপরজন মাধুরি।
গত ১০ বছরেরও বেশী সময় ধরে ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে আলো মাসির আদরযত্নে বড় হয়ে উঠছিল সুন্দরী।আর মাধুরি ছিল গত ৩ বছর ধরে।তবে আজ তারা দুজনেই এক নতুন ঠিকানার পথে।
গত ১-২ মাস আগে ডায়মন্ড হারবার চাইল্ড লাইন শাখার নজরে আশে এই দুটি শিশু।তবে তারা দুই জনেই মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন।
আরও পড়ুনঃ দূর্গম আদমা পাহাড়ী গ্রাম থেকে সমতলে এনে প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের উদ্যোগ
১০ বছর আগে সুন্দরীকে হাসপাতালে ফেলে রেখে চলে যায় তার মা।সুন্দরী ছোটবেলা থেকেই কথা বুঝতে পারলেও শুনতে ও বলতে পারে না কোন কিছুই।আর মাধুরি জন্ম থেকেই সেরিব্রাল অ্যাটাকের শিকার।তাই হয়তো তার মা জন্মের পরই তাকে হাসপাতালের বাইরে ছেড়ে চলে যায়।
আর তার পর থেকেই ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে আলো মাসির আদরযত্নে বড় হয়ে উঠছিল বছর ১৪ এর সুন্দরী আর বছর ৩ এর মাধুরি।সকাল থেকে রাত অব্দি তাদের খাওয়ানো থেকে শুরু করে তিনিই দেখাশোনা করতেন তাদের।
আর এই ভাবেই একটু একটু করে আলোমাসি হয়ে উঠেছিলেন তাদের মা’।
এদিন ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালের পক্ষ থেকে তাদের তুলে দেওয়া হলো ডায়মন্ড হারবার চাইল্ড লাইনের হাতে।
হয়তো সুন্দরী ও মাধুরি কোন দিনই জানবে না কে তাদের মা, কিন্ত আলোমাসির ভালোবাসা থেকে যাবে তাদের সবটুকু জুড়ে।
এবার বিদায় বেলা।মন না মানলেও যেতে দিতে হবে যে! সুন্দরী আর মাধুরিকে কোলছাড়া করতেই কান্নায় ভেঙে পরেছিলেন আলোমাসি।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584