নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
মহরমের মিছিল করার অপরাধে জাতীয় সুরক্ষা আইনে গ্রেফতারি খারিজ করে দিল মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট। আদালত ক্ষোভ উগরে দিয়েছে সাম্প্রতিক ট্রেন্ড মিডিয়া ট্রায়ালের বিরুদ্ধেও।
মহরমের মিছিল সংগঠিত করার অপরাধে ইন্দোরে, প্রাক্তন কর্পোরেটর উসমান প্যাটেল ও তাঁর চার সাথীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ইন্দোরের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অর্ডার দেন জাতীয় সুরক্ষা আইন প্রয়োগ করার, তাও শুধুই মিডিয়া ট্রায়ালের ভিত্তিতে।
মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টে এর বিরুদ্ধে আবেদন করেন উসমান প্যাটেলের ছেলে তনভির প্যাটেল। মামলাটি শোনেন বিচারপতি এস সি শর্মা ও শৈলেন্দ্র শুক্লার ডিভিশন বেঞ্চ।
আরও পড়ুনঃ দিল্লি দাঙ্গা: ‘পিঞ্জরা তোড়’ কর্মী নাতাশা নারওয়ালের জামিন মঞ্জুর
ইন্দোর বেঞ্চ রায় দেন উসমান প্যাটেল(৬০) ও তাঁর তিন সাথী যাঁদের ও একই অভিযোগে আটক করা হয়েছে সকলকে ছেড়ে দেওয়ার এবং আদালত প্রবল সমালোচনা করেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এর, যিনি ‘মিডিয়া ট্রায়াল’ এর ভিত্তিতে এই চারজনের বিরুদ্ধে জাতীয় সুরক্ষা আইন প্রয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
আদালত আরও বলেন, ইদানিং বিচার ব্যবস্থায় মিডিয়া ট্রায়াল যে বড় ভূমিকা নিয়েছে সেই ট্রেন্ড অত্যন্ত ক্ষতিকারক। শুধুমাত্র কয়েকটি সংবাদপত্রের কাটিং, টিভি চ্যানেলের ভিডিও ক্লিপিং দেখে কোনো সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না।
আরও পড়ুনঃ আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি ফেরত চাইলেন রাজা মহেন্দ্র প্রতাপের বংশধর
জেলা শাসক মনীশ সিং তাঁর অর্ডারে উল্লেখ করেছেন দৈনিক ভাস্কর, নয়ী দুনিয়া, পিপলস সমাচার ইত্যাদি হিন্দি দৈনিকের খবর দেখে তিনি উসমান প্যাটেল ও তাঁর তিন সঙ্গীর বিরুদ্ধে জাতীয় সুরক্ষা আইন প্রয়োগের নির্দেশ দিচ্ছেন। এই দৈনিক গুলিতে লেখা হয়েছিল উসমান প্যাটেল ও তাঁর সঙ্গীরা ইন্দোরের মুসলমান সম্প্রদায়কে উস্কানি দিয়েছিলেন মহরমের মিছিলে অংশগ্রহণ করার। যে মিছিলে কোনো করোনা স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি।
শুনানি চলাকালীন দুই বিচারপতি প্রশ্ন করেন কিভাবে একজন জেলা শাসক অন্য কোন তথ্য প্রমাণ ছাড়া শুধু সংবাদপত্রের কাটিংয়ের ওপর ভিত্তি করে নিজের মতামত তৈরি করতে পারেন? প্রসঙ্গত উল্লেখ্য উসমান প্যাটেল ২০১৯ সালে বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584