যোগাযোগ, যাতায়াত, কৃষি থেকে শুরু করে জলবায়ু ও আবহাওয়া সংক্রান্ত গবেষণার ক্ষেত্রে স্যাটেলাইট এখন অপরিহার্য। মোবাইল টেলিফোন থেকে শুরু করে জিপিএস বা টেলিভিশন– সব কিছু চলে এই স্যাটেলাইটগুলির কল্যাণে৷ তাই বর্তমানে অজান্তেই স্যাটেলাইট হয়ে উঠেছে আমাদের জীবনের অন্যতম সাহায্যকারী।
কিন্তু সময় ও প্রযুক্তির সঙ্গে সঙ্গে উড়ন্ত এই সব যন্ত্র সেকেলে অথবা অকেজো হয়ে পড়ে এবং মহাকাশেই ঘুরতে থাকে। এইসব অকেজো কৃত্রিম উপগ্রহ ও যন্ত্রাংশগুলো একটা জালের মতো পৃথিবীকে জড়িয়ে রেখেছে – মাধ্যাকর্ষণের ফলে তাদের বা পৃথিবীর এ বাঁধন থেকে মুক্তি নেই৷ তাই পৃথিবীর চারদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে অসংখ্য বস্তু -ছোট্ট স্ক্রু থেকে শুরু করে অকেজো উপগ্রহ – অনেককিছু৷’
আর এখানেই উদ্বেগের কারণ। উপগ্রহের এসব ধ্বংসাবশেষ আবার পৃথিবীতে ফিরে আসতে পারে৷ তবে তার চেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, মহাকাশে সচল বিভিন্ন কৃত্রিম উপগ্রহের সঙ্গে যদি পুরাতন, অচল উপগ্রহ বা সেসবের যন্ত্রপাতির অংশ বিশেষেরও ধাক্কা লাগে, তাহলে সচল উপগ্রহটি মুহূর্তেই মধ্যেই ধ্বংস হয়ে যাবে৷
মহাকাশ নজরদারি নেটওয়ার্ক (এসএসএন) এর হিসেব অনুযায়ী, পৃথিবীর চারপাশে এখন তের হাজার বড় আকারের ধ্বংসাবশেষ ভেসে বেড়াচ্ছে৷ আর ছোট অর্থাৎ এক সেন্টিমিটারের মতো আকারের আবর্জনার সংখ্যা সাত লাখের মতো৷ ১৯৫৭ সাল থেকে এখন অবধি মহাকাশে ছয় হাজারের বেশি কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানো হয়েছে৷ এগুলোর মধ্যে থেকে মাত্র এক হাজার এখন সচল আছে এবং গবেষণা, সামরিক, টেলিযোগাযোগসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে৷ অর্থাৎ পাঁচ হাজারের বেশি আকজো উপগ্ৰহ বা তাদের যন্ত্রাংশ ঘুরে বেড়াচ্ছে মহাকাশে।
তথ্য সূত্র: ইন্টারনেট।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584