সিমা পুরকাইত,দক্ষিণ ২৪ পরগনাঃ
প্রতিবছরের ন্যায় গ্রামের মঙ্গল কামনায় পালিত হল মহরম উৎসব।সকল ধর্মের মানুষ সকাল থেকে ভিড় জমান গ্রামের মাজারে।প্রবীন নবীনদের হা হোসেনের আর্তনাদ শব্দে মাতয়ারা হয়ে ওঠেন প্রত্যন্ত গ্রামবাসি।আরবি প্রথম মাস মহরম।চারটি পবিত্রতম মাসের (মহরম, রজব, জিলক্বদ ও জিলহজ্জ) মধ্যে এটি একটি।
মুহররম শব্দটি আরবী যার অর্থ পবিত্র, সম্মানিত।প্রাচীনকাল থেকে মুহররম মাস পবিত্র হিসাবে গন্য। মহররমের ১০ তারিখ বিশেষ মর্যাদাসম্পন্ন দিন,যাকে আশুরা বলা হয়ে থাকে।মহররম মাসের পরবর্তি মাসের নামই সফর।মথুরাপুর দু’নম্বর ব্লকের খাঁড়ি অঞ্চলের খাঁড়ি পাড়া সকল ধর্মের প্রবীন নবীনরা শোকের উৎসবে মুখর হয়ে ওঠেন।তাজিয়া পাক ও বাতি পাক মাজার করে হোসেন ভক্তরা উৎসর্গ করেন তাদের শরীরের রক্ত।যা শোকাহত এলাকামানুষ আজও পালন করেন মহরম উৎসব।মেদীনিপুর বড় হুজুর পাক পরিচালনায় দুদিন ব্যাপী হয়ে ওঠে মহরম উৎসব । সুন্দরবনের খাঁড়ি পাড়ায় পনের বছর ধরে পালিত হচ্ছে মহরম। গ্রামের প্রবীন নবীন তাজিয়া পাককে নিয়ে মোহড়াতে মেতে থাকেন।পরিবার পরিজনের পাশাপাশি গ্রামকে মঙ্গল কামনায় মহরম পালন করেন এই এলাকার মানুষ।পরে মিলাদের মধ্যে দিয়ে মহরম পালন করেন।
খাঁড়ি অঞ্চলের মহরম ঘিরে নিরাপত্তা ছিল আঁটো সাটো।রায়দিঘি থানা সহ মন্দিরবাজার ডিএসপি সুন্দরবন জেলা পুলিশকে মুড়ে দেওয়া হয় নিরাপত্তার চাদরে।সুন্দরবনের এই অঞ্চলের মহরন দেখতে ভীড় জমান সুন্দরবন ও পাশ্ববর্তী এলাকাবাসী।
আরও পড়ুনঃ মেদিনীপুরে মহরম উদযাপন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584