নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
করোনা সংক্রমণের জেরে দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই লকডাউনের সময় পরিযায়ী শ্রমিক থেকে শুরু করে বহু মানুষ অভাব-অনটনের মধ্যে দিন কাটাতে বাধ্য হয়েছেন। সরকারি সাহায্য পেলেও, অনেক ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধিদের নিষ্ক্রিয় থাকার অভিযোগও উঠে এসেছে।
অবশ্য অভিনেতা সোনু সুদের মতো জনসেবার উদাহরণ কম হলেও দেখা গিয়েছে ওইসময়, যাঁরা নিঃস্বার্থভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এদের মধ্যে ব্যতিক্রমী বেশ কয়েকজন সাংসদ, যাঁদের পরোপকারী রূপ লকডাউনের সময় মানুষ দেখেছেন। সমীক্ষায় দলমত নির্বিশেষে এমনই কয়েক জন সাংসদের নাম প্রকাশ্যে আনল নয়া দিল্লির সংস্থা। সেই তালিকায় প্রথম ১০ জনের মধ্যে রয়েছেন রাহুল গান্ধী, মহুয়া মৈত্ররা।
আরও পড়ুনঃ দলিত যৌন নিগ্রহে বেশিরভাগ অভিযুক্ত উচ্চবর্ণের, মেলে না বিচার- রিপোর্টে প্রকাশ
গত ১ অক্টোবর থেকে শুরু হয় এই সমীক্ষা। নয়া দিল্লির একটি সংস্থা গভর্নআই সিস্টেমের মতে, ওয়ানাদের সাংসদ রাহুল গান্ধী, কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র, নেল্লোরের ওয়াইএসআর কংগ্রেসের সাংসদ আদালা প্রভাকরা এবং উজ্জয়নীর বিজেপি সাংসদ অনিল ফিরোজিয়া সবচেয়ে বেশি সাধারণ মানুষের সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন।
আরও পড়ুনঃ কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে সিংঘু সীমান্তের পাঁচ সদস্যের সাংসদ দল
নিজেদের সংসদীয় ক্ষেত্রে সর্বদা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে সমীক্ষায় উঠে এসেছে। ২৫ জন লোকসভা সাংসদের নাম প্রাথমিক ভাবে বেছে নেওয়া হয় গোটা দেশের মধ্যে। তাঁদের মধ্যে সাহায্যের নিরিখে সেরা ১০ জন সাংসদকে বাছাই করা হয়েছে।
এই সেরা দশ জনের তালিকায় রয়েছেন, রাহুল গান্ধী (কংগ্রেস), মহুয়া মৈত্র (তৃণমূল কংগ্রেস), আদালা প্রভাকরা (ওয়াইএসআর কংগ্রেস), অনিল ফিরোজিয়া (বিজেপি), তেজস্বী সূর্য (বিজেপি), হেমন্ত তুকারাম গডসে (শিবসেনা), সুখবীর সিং বাদল (শিরোমণি অকালি দল), শঙ্কর লালওয়ানি (বিজেপি), ডা. টি সুমতি (ডিএমকে) এবং নীতিন গড়করি (বিজেপি)। তালিকায় চারজন বিজেপি সাংসদ রয়েছেন। মোট ৫১২টি লোকসভা কেন্দ্রে সমীক্ষা করে এই ফলাফল পাওয়া গিয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584