পিয়া গুপ্তা, উত্তর দিনাজপুরঃ
আধুনিকতার দাপটে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রাম বাংলার মৃৎ শিল্পীদের মাটির তৈরি হাড়ি পাতিলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় রকমারি জিনিসপত্র।
বর্তমানে প্লাস্টিক,স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি জিনিসপত্র ধীরে ধীরে দখল করে নিয়েছে মৃৎশিল্পের বাজার।
তাই দিন দিন হারিয়ে যেতে বসেছে কুমোর পাড়ার মৃৎশিল্পরা।
উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের কুনোর গ্রামের মৃৎ শিল্পী গুটেন পাল আজও নিয়ম মেনে বানিয়ে চলছেন মাটির তৈরি নানান ধরনের হাড়ি।ষাট বছরের বৃদ্ধা গুটন পাল আজ বহু বছর ধরে তার পূর্ব পুরুষের এই জাত ব্যাবসাকে ধরে রেখেছেন।গুটেণ পাল জানান,আজ বহু বছর ধরে তিনি তার বাপ ঠাকুর দার ব্যাবসা একাই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।যদিও আর্থিক লাভ তেমন হয়না কারন প্লাস্টিক,স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম বাজারে চলে আসায় বর্তমানে কেউ তেমন এই মাটির হাঁড়ি ব্যবহার করেন না।
তবুও পুজো পার্বণ তথা ধর্মীয় যে কোনো আচার-অনুষ্ঠানে মাটির তৈরি হাঁড়ি,পাতিল, কলসি, ঘট ব্যবহার অবশ্যাম্ভাবী।তাই মাটির তৈরি জিনিসপত্রের কদর বাড়ে পুজো-পার্বন আসলেই।’
মৃৎশিল্পের সঙ্গে জড়িত পরিবারগুলোর দাবি, তাদের তৈরিকৃত মাটির জিনিসপত্র বিক্রি করে আগের মতো সংসার চালানোও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।তাছাড়া এই পেশাও তাদের অনেকে ধরে রাখতে চাচ্ছেন না। এসব পরিবারের অনেক সদস্য এখন পড়ালেখার পাট চুকিয়ে অন্যান্য পেশায় ঝুঁকে পড়েছেন।আবার অনেক পরিবারে অভাব-অনটন লেগে থাকায় তারা চরম হতাশায় ভুগছেন।
একসময় মৃৎশিল্পে জড়িত থাকার বাধ্যবাধকতা থাকলেও এখন সেই গন্ডি পেরিয়ে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন অনেকে।
আরও পড়ুন: সতীশচন্দ্র স্মৃতি উচ্চবিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584