নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদহঃ
করোনার হাত থেকে বাঁচতে লকডাউনের সবুজ চাদরে মুখ লুকিয়ে ছিল রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলা। আর সেই সব জেলাগুলির মধ্যে ছিল মালদহ। তবে হয়তো খুব বেশিদিন তাকে সবুজ চাদরের আড়ালে থাকতে দিল না এই মারণ ভাইরাস। তাই করোনার ছোঁয়ায় সহজেই ‘গ্রিন’ থেকে ‘অরেঞ্জ’ জোন হিসাবে পরিচয় পেল মালদহ।
তবে দোকান-বাজার থেকে শুরু করে, রাস্তাঘাটে সাধারণ মানুষের ভিড় দেখে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। আর এরই মধ্যে মালদহ যেন স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে। অথচ, মালদহের এখন যা পরিস্থিতি, তাতে বেশি করে মেনে চলতে হবে ‘লকডাউন’।
আরও পড়ুনঃ নিয়ম মেনে পুলিশ, আফগারি কর্মীদের কোয়ারান্টিনে পাঠালো খোদ কর্তারা
কিন্তু তা না করে, জেলার সর্বত্রই ভিড় উপচে পড়ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। যদিও পুলিশ প্রশাসনের নজরদারি শিথিল হতেই লকডাউন ভাঙার প্রবণতা বাড়ছে জেলায়। এমনকি নাকা চেকিং এর মাধ্যমে জেলাতে নজরদারি নিয়মিত চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা। তবে সূত্রের খবর, মালদহে এখনও পর্যন্ত সাড়ে পাঁচশো জনের লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে দু’জনের রিপোর্ট ‘পজিটিভ’ এসেছে। আর তার ফলেই ‘অরেঞ্জ’ জোন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে মালদহ জেলাকে।
ইংরেজ বাজার শহরের রথ বাড়ির সবজি বাজারে থিকথিক করছে ক্রেতাদের ভিড়। এমনকি গোল দাগ এঁকে দেওয়া হলেও সামাজিক দূরত্ব না মেনেই চলছে কেনাবেচা। আনাজ, মুদির দোকান ছাড়াও কাপড়, জুতো, ফাস্টফুডের দোকানও খুলে রাখছে বলে অভিযোগ।
শুধু রথবাড়ি নয়, কালিয়াচক, সুজাপুর, পুরাতন মালদহ, হবিবপুর, গাজল ও চাঁচলের অধিকাংশ ব্লকেই একই দৃশ্য। একই সাথে দোকান-বাজার খোলা, রাস্তায় দেদার চলছে মোটরবাইক, টোটো, ছোট গাড়ি বলে অভিযোগ। তা দেখে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584