শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
মাঝেরহাট সেতু খোলার দাবিতে বৃহস্পতিবারই বিজেপির মিটিং-মিছিল এবং বিক্ষোভ প্রদর্শনে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল তারাতলা চত্বর। ইটবৃষ্টি পাল্টা লাঠিচার্জের মধ্যে ঘটনায় মাথা ফেটে যায় এক বিজেপি কর্মীর। কিন্তু মাঝেরহাট সেতু চালু হওয়া দেরির জন্য পাল্টা বিজেপিকে আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় সরকারের ঢিলেমির জন্যই এই সেতুর নির্মাণকাজ সম্পন্ন করে চালু করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর।
বৃহস্পতিবার নবান্নে এক সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী পরিষ্কার বলেন, সব সময় এক তরফা দোষ দিলে চলে না । রেলের ওপরের অংশে নির্মাণের জন্য রেল মন্ত্রকের অনুমতির প্রয়োজন ছিল। কিন্তু বিভিন্ন টালবাহানা করে ৯ মাস ধরে অনুমতি দেয়নি রেল। এখনো সে অনুমতি দিতে ঢিলেমি করছে। আর এখন এই সেতু উদ্বোধন না হওয়া রাজ্যের দোষ হয় কি করে?
আরও পড়ুনঃ বিজেপির বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার তারাতলা
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘ন’মাস যখন রেল পারমিশন দেয়নি তখন বিজেপি পার্টি তুমি কি ঘুমাচ্ছিলেন, না নাক ডেকে হুকো টানছিলে? ন’মাস মিটিং করে করে পায়ে ধরেছি শুধু, যে ক্লিয়ারেন্স দাও। গঙ্গাসাগরের মেলায় আমাদের লোকেরা কত কষ্ট করেছে। আজ এই ২-৩ বছর ধরে বেহালার মানুষ কত কষ্ট করেছে। ন’মাস আগে এটা হয়ে যেতে পারত। শুধুমাত্র রেল আমাদের সঠিক সময় পারমিশন দেয়নি তাই ফেস করতে হয়েছে।’
আরও পড়ুনঃ আমাদের দু’জন কর্মীর গায়ে হাত দিলে ওদের চারজনকে হাসপাতালে পাঠানঃ দিলীপ ঘোষ
মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘এখনো ওটা পুরো কমপ্লিট হয়নি। পি ডব্লিউ ডি-র কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু রেলের ১০০ শতাংশ পারমিশন এখনো পাওয়া যায়নি। সেটা দিতে ৭ – ৮ দিন সময় লাগবে। এটা আমাদের ওপরে নয়, এটা কেন্দ্রীয় সরকারের ঢিলেমি এবং আমাদের ঘাড়ে দোষ চাপাতে বিজেপি পার্টির পলিটিক্স করার জন্য। যেটা ১ বছর আগে হয়ে যেতে পারত, মানুষকে হ্যারাস করেছে’।
নবান্ন সূত্রে দাবি, পুজোর আগে থেকে মাঝেরহাট সেতু চালু করার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার। কিন্তু সমস্ত ছাড়পত্র না মেলায় এখনো চালু করা যায়নি। তবে গঙ্গাসাগর মেলার আগে এই সেতু চালু করতে তৎপর রাজ্য প্রশাসন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584