নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়িঃ
শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিদ্রোহী নেতাদের নাম না করে মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির কর্মিসভায় কড়া বার্তা দিলেন তৃণমূল নেত্রী। এদিনের কর্মিসভায় তিনি বলেন,“আমি বড় বা ও বড় সেটা বড় নয়। ১০ বছর পার্টির খেয়ে, ১০ বছর সরকারে থেকে সরকারের খেয়ে নির্বাচনের সময় এর সঙ্গে ওর সঙ্গে বোঝাপড়া যাঁরা করে আমি তাঁদের বরদাস্ত করি না।”
জলপাইগুড়িতে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মিসভায় দলবিরোধীদের স্পষ্ট ভাষায় বুঝিয়ে দিলেন, বিজেপির সঙ্গে আঁতাঁত করলে তৃণমূল তাঁদের বরদাস্ত করবে না। এদিনের সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এই ১০ বছরে ৩৬৫ দিন যাঁরা মানুষের সঙ্গে ছিলেন তাঁদেরই পরীক্ষায় বসতে হবে।”
অর্থাৎ যাঁরা গত দশ বছর মমতার সঙ্গে আছেন, দলের অনুগত সৈনিক তাঁরাই এবার নির্বাচনে জোড়াফুলের প্রতীকে দাঁড়াবেন। অন্যথায় নির্বাচনে টিকিট দেওয়া হবে না, তা মোটামুটিভাবে বুঝিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, একুশে এমন পরীক্ষা দেবেন যাতে বিজেপি আর কোনওদিন পরীক্ষায় বসতে না পারে। সিপিএম ও কংগ্রেসকে স্পষ্ট ভাষায় বিজেপির ‘দালাল’ বলে কটাক্ষ করেন মমতা।
আরও পড়ুনঃ মার্চের শেষেই কলকাতায় পুরভোট করার ইচ্ছা রাজ্য সরকারের
দলীয় কর্মীদের একুশের নির্বাচনের আগে চাঙ্গা করতে বেশ কিছু “ভোকাল টনিক” দেন মমতা। তিনি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরাই দলের সম্পদ। ভালো কাজ করলে জনগণই তাঁদের মাথায় তুলে রাখবেন। একই সঙ্গে কর্মীদের সতর্ক করে বলেন, যদি কোনও ভুলত্রুটি তাঁরা করে থাকেন যেন নিজেদের সংশোধন করে নেন। মানুষের কাছে মাথা পেতে ক্ষমা চেয়ে নিলে, কোনও অপরাধ হয় না।
মানুষই দলের সবচেয়ে বড় অভিভাবক। জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সর্বজনবিদিত। গোষ্ঠীকোন্দল মেটাতে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, “পুরনো-নতুন মিলে কাজ করুন। এ বড় না বি বড় বা সি বড় সেটা দেখার দরকার নেই। যুদ্ধ যখন আসে তখন যুদ্ধ জয় করাটাই সবচেয়ে বড় লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায়।”
আরও পড়ুনঃ শাসকদলের রিপোর্ট কার্ডের পালটা বিজেপির হাতিয়ার ‘তৃণমূলের ফেল কার্ড’
কর্মীদের তিনি স্মরণ করিয়ে দিলেন অর্জুনের লক্ষ্যভেদের কথা। দলনেত্রী বললেন, দলের লক্ষ্য হবে বিজেপি নামক পার্টিটাকে বাংলা থেকে দূর করে দেওয়া। আগামিদিনে বাংলাই পথ দেখাবে।
বিজেপির প্রতি কটাক্ষ করে মমতা এদিন বলেন,”রাষ্ট্রপতি শাসন করে দেখাও না, আমার কাজ অনেক কমে যাবে। আমি ঘুরে ঘুরে মিটিং-মিছিল করব আর তোমাদের সব ভোট নিয়ে নেব। আমরা আন্দোলন করে উঠে আসা লোক, মার খেয়ে উঠে আসা লোক। আমার শরীরে এমন কোনও জায়গা নেই যেখানে মার খাইনি। রক্তাক্ত অবস্থায় লড়াই করে এসেছি। কোনো পরিস্থিতিতেই মানুষের জন্য লড়াই করতে আমি পিছপা হব না।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584