নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
এক সময় পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা বাম দুর্গ ছিল।২০১১ সালে সরকার পরিবর্তনের পর বাম দুর্গ ক্রমশ ভাঙতে ভাঙতে তিন মূল্যের ঘর হিসেবে পরিচিত।ফের সেই দুর্গই পুনরায় ভাঙতে শুরু করেছে বিজেপির জোয়ারে।গড়বেতায় মমতা ব্যানার্জিকে জোকার বলে কটাক্ষ করলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়।
লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির এক দলীয় সভায় যোগ দিতে এসে মমতা ব্যানার্জিকে জোকার বলে কটাক্ষ করলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়,এই দলীয় সভায় তৃণমূলের ঘর ভাঙতে দেখা যায়,এ দিন এই সভাতেই প্রাক্তন তৃণমূল ব্লক সভাপতি দিলীপ পাল,প্রাক্তন তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি লিপিকা পিড়ি এবং প্রাক্তন ভূমি কর্মাধ্যক্ষ সঞ্জয় মণ্ডল সহ শতাধিক তৃণমূলের কর্মী সমর্থক মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করেন।এই দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন “মমতা ব্যানার্জি ইউনাইটেড ফ্রন্ট এর স্বপ্ন দেখছেন।এই কিছুদিন আগে ব্রিগেডে একটা সার্কাস হলো,সেখানে কারা উপস্থিত ছিলেন চন্দ্রবাবু নাইডু,গোলাম নবী আজাদ,মমতা ব্যানার্জি ও কংগ্রেসের প্রতিনিধি মমতা ব্যানার্জি বিশাখাপত্তনমের চন্দ্রবাবু সমর্থনে সভা করতে গেলেন।সেখানে চন্দ্রবাবু নাইডুর দল এবং কংগ্রেস একে অপরের বিরুদ্ধে লড়ছে ।মমতা ব্যানার্জি বলছেন ইউনাইটেড ফ্রন্ট গঠন করবেন।এই সার্কাস পার্টিতে সবাই বলছেন আমি প্রধানমন্ত্রী হব মমতা ব্যানার্জি বলেছেন,চন্দ্রবাবু নাইডু , স্ট্যালিন , দেব গৌড়া,কেজরিওয়াল বলছেন আমি প্রধানমন্ত্রী হব,ফলে এটা কি হবে সার্কাস?আর সার্কাসের জোকার লাগে সেই জোকার খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না,তারা জোকার খুঁজে পেয়েছেন,মমতা ব্যানার্জিকে।”
বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি আরো বলেন “গড়বেতাই তৃণমূলে কেউ থাকবে না গড়বেতাটা তৃণমূল শূন্য হবে।’ তিনি নিজেকে উপমা দিয়ে বলেন ‘আমরা পাপের প্রায়শ্চিত্ত’ করছি। আপনারা চোর তাড়িয়ে ডাকাত এনেছেন।” সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন রাজ্যে ৩০ টি আসন পাবে বিজেপি।রাজ্যের শাসক দল নিশ্চিত পরাজয় জেনে বিভিন্ন জায়গায় গন্ডগোল পাকিয়ে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে।সংবাদমাধ্যমে মুখোমুখি হয়ে তিনি আরো বলেন নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কোন ইনফ্রাস্ট্রাকচার নেই, রাজ্য সরকারের কর্মীদের উপর নির্ভর করতে হয় নির্বাচন কমিশনকে, রাজ্য সরকারের কর্মীরা আগে সিপিএম এর হয়ে কাজ করত এখন তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে।পশ্চিমবাংলায় নির্বাচন কমিশনের নামে যে আধিকারিকরা কাজ করছেন তারা কেউ নিরপেক্ষ নয়।আগামীকাল মোদীর ব্রিগেড শাসক দলের কোন ক্যাম্পে যোগ দিচ্ছে কিনা সুকৌশলে সেই প্রশ্ন জিয়িয়ে রাখেন মুকুল রায় এবং তিনি আরো বলেন নির্বাচন কমিশনের যেসব আধিকারিকরা বাংলায় কাজ করছে তারা পক্ষপাত দুষ্ট।বাংলার মানুষের ধারণা রাজ্য নির্বাচন কমিশনার পক্ষপাতদুষ্ট। পশ্চিমবাংলা সমস্ত বুথ স্পর্শকাতর ।
যদিও এই প্রসঙ্গে বর্তমান তৃৃৃৃণমূল নমূনমন ব্লক সভাপতি সেবাব্রত ঘোষের বক্তব্য ‘দীর্ঘদিন ধরে এই সব লোকের নামে অভিযোগ আমার কাছে আসছে,শুধু তাই নয় বিভিন্ন দূর্নীতির সঙ্গে যুক্ত এই সব মানুষগুলো,এরা এখন দলের হয়ে কাজ করে না আগেই নিজেদের ঘর গুছিয়ে নিয়েছে,এখন তাঁদের কাছে দলই খারাপ,এই সব মানুষগুলো দলে থাকুক না থাকুক দলের কোনো যায় আসে না,ভোটেও কোনও এর প্রভাব পড়বে না।’
আরও পড়ুনঃ মোদী প্রধানমন্ত্রী নন ‘পাবলিসিটি মিনিস্টার’, বলে উল্লেখ রাহুলের
মুকুল রায়ের প্রসঙ্গে তিনি বলেন দুই হাজার উনিশের ভোটের রেজাল্টের পরেই মুকুলবাবু পশ্চিম বাংলা থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে আগে নিজেরটা সামলান তারপর তৃণমূলকে নিশ্চিহ্ন করবেন,এদিন এই দলীয় সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি সুমিত দাস,ঝাড়গ্রাম লোকসভা পালক ধীমান কোলে সহ একাধীক বিজেপি নের্তৃত্ব।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584