নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
খড়্গপুরের বাসিন্দাদের বর্তমান রেলের অবস্থা বুঝিয়ে মমতা বলেন, ‘খড়্গপুর শহরের ৯০ শতাংশ জমি রেলের। আজ মনে হচ্ছে আপনাদের ভবিষ্যৎ বিপদের মুখে। আমি জানি না সামনের দিনে কি হবে। এখন তো রেলকেও বিক্রি করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এমন কোনও দিন এলে আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আপনাদের সঙ্গে লড়াইয়ে থাকব।
এখানকার উপস্থিত সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষকে বলব আমরা সবাই এক। আসুন জোট বাঁধি, একটা লোককেও দেশ থেকে তাড়ানো চলবে না। নো এনআরসি, কোনও বিভাজন হবে না। যার যতই রাজনৈতিক স্লোগান থাকুক মনে রাখবেন দেশের থেকে বড় কিছু নয়। সিএবি বলুন আর এনআরসি বলুন দুটোই কয়েনের এপিঠ-ওপিঠ। আমরা সবাই নাগরিক, সবাই ভোট দিই, প্রত্যেকের কোনও না কোনও কাগজ রয়েছে। তা হলে আবার নাগরিকত্বের প্রশ্ন কেন? আর যদি আপনার কোনও কিছু নতুন করে এসে থাকে তা হলে ডিপ সিটিজেনশিপ দিতে পারেন।
বাইরের দেশে কেউ পাঁচ বছরের বেশি থাকলে ডিপ সিটিজেনশিপ, নয়তো সবুজ কার্ড দেওয়া হয়। এখানে বলছে ৭০ বছরের বেশি থাকার পরেও নাকি নাগরিক নয়। সেটা বলার জন্য আপনারা কারা? অসমে এইসব করতে গিয়ে ১৪ লক্ষের বেশি হিন্দুকেও বাদ দিয়ে দিয়েছে ওরা। বাদ গিয়েছে অন্যান্য সমস্ত সম্প্রদায়ও। প্রথমে বরং খাদ্য বস্ত্র ঘর দিন। মানুষকে বিভাজন করবেন না।’
কেউ কেউ আছেন কাজ করেন না শুধু ভাষণ দেন। রেশন দেন না। আমরা তাদের পক্ষে নই। মানুষ যাতে ভাল থাকে আমরা তার পক্ষে। আমাদের সবাইকে এক থাকতে হবে। বাইরের থেকে আমদানি করা কিছু লোক এসে আপনার মাথার সামনে হিন্দু-মুসলমান, শিখ, খ্রিস্টান, সাদা-কালোর গল্প শোনাবে , আর সারাক্ষণ ডুগডুগি বাজাবে। ওসব করতে দেবেন না। ডুগডুগি বাজাতে হলে নিজেদের বাড়িতে বসে বাজাতে বলুন। অন্য কাউকে আপনার মাথার ওপর খবরদারি করতে দেবেন না।’
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584