নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্টঃ
নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন , রাজ্যপাল এক জন আদ্যন্ত দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষ। হাওড়ার জৈন হাওয়ালা-কাণ্ডের চার্জশিটেও তাঁর নাম ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের কিছুক্ষণের মধ্যেই সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় জানিয়ে দিলেন, মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য অসত্য; হাওয়ালা চার্জশিটে তাঁর নাম নেই।
রাজ্যপালের বক্তব্য জৈন হাওয়ালা-কাণ্ডে এখনো পর্যন্ত কেউ দোষী সাব্যস্ত হননি। এমনকি হাওয়ালা চার্জশিটে তাঁর নাম ছিল না। তাঁর বিরুদ্ধে নেই কোনো তথ্য প্রমাণও। রাজ্যপাল আরও বলেন যে হাওয়ালা-কাণ্ডের চার্জশিটে অজিত পাঁজা, যশবন্ত সিনহাদের মত নেতাদের নাম ছিল। পরবর্তীকালে তাঁরা অভিযোগ থেকে মুক্ত হন।
সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যপালের অভিযোগ করোনা অতিমারি নিয়ে ২ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। সেই দুর্নীতির বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীও চুপ। প্রকাশ হচ্ছেনা তদন্তের রিপোর্ট। এমনকি সব জেনেও তৎকালীন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ও চুপ করে ছিলেন।
বিধানসভার অধিবেশন শুরুর আগে রাজ্যপালের ভাষণের যে খসড়া তাঁকে পাঠানো হয়েছে তার সাথে বাস্তবের কোন মিল নেই বলেও সাংবাদিক সম্মেলনে জানান তিনি। বিষয়টি সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি চিঠিও দিয়েছেন এবং তাঁদের মধ্যে ফোনে আলোচনাও হয়েছে বলে জানান তিনি ।
ঘটনার সূত্রপাত রাজ্যপাল উত্তরবঙ্গ সফর থেকে ফেরার পর। উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্য সরকারকে দোষারোপ করেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন রীতিমত রাজনৈতিক সন্ত্রাস চলছে উত্তরবঙ্গে। পাশাপাশি জিটিএ-র বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও তুলেছেন ধনখড়। জিটিএ-র অডিট সিএজি -কে দিয়ে করানোর দাবি জানিয়েছেন তিনি। এই মন্তব্যেই প্রবল ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন সিএজি-র কোন প্রয়োজন নেই, রাজ্যে সরকারই অডিট করাচ্ছে। এই প্রসঙ্গেই তিনি বলে ওঠেন যে রাজ্যপাল নিজেই একজন আদ্যন্ত দুর্নীতিগ্রস্থ মানুষ।
অন্যদিকে রাজ্যপালও জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের প্রথম নাগরিক হিসেবে তিনি সংবিধানের কাছে দায়বদ্ধ। কোনরকম দুর্নীতির সঙ্গে তিনি আপোষ করবেন না, তাতে যতই ষড়যন্ত্র হোক তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ তিনি করবেনই।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584