তারাপীঠে পুজো দিয়ে দেশের মানুষের মঙ্গল কামনা মমতার

0
95

পিয়ালী দাস, বীরভূমঃ

Mamata wants good wishes of the people of the country by performing puja at Tarapith
নিজস্ব চিত্র

কথা রাখলেন মমতা। তাঁর তৈরি তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হওয়ার পরই তারাপীঠে এলেন মুখ্যমন্ত্রী। পূজো দিলেন মা তারার মন্দিরে। দেশের মানুষের মঙ্গল কামনা করলেন তিনি। মায়ের ভোগও খেলেন তিনি।

বৃহস্পতিবার বেলা ১টা ১০ মিনিট নাগাদ মা তারার মন্দিরে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী। সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময়ই তিনি সংবাদ মাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন, ” দেখো কত উন্নয়ন হয়েছে। এসব আমরা করেছি”।

আরও পড়ুন: ঊনিশে কেন্দ্রে নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় মমতাঃ শুভেন্দু

এরপরই মুখ্যমন্ত্রী মন্দির চত্বরে বসে থাকা সেবাইত ও তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে যান। নমস্কার বিনিময়ের পরই ঢুকে পরেন মাতার মূল মন্দিরে। ওই সময় অবশ্য নেতারা মন্দিরের বাইরে অপেক্ষা করতে থাকেন। প্রায় দশ মিনিট পূজো দেন তিনি। তাকে পূজো করান শ্যামাশঙ্কর চট্টোপাধ্যায়। ওই সেবাইত জানিয়েছেন এক’শ আটটি জবা ফুলের মালা, শাড়ি, পাঁচ ফল ও ফুল আতব চাল সহযোগে শৃঙ্গার পূজো করেন মুখ্যমন্ত্রী।

তাঁর নাম ও গোত্র ধরেই পূজো দেওয়া হয়। এদিন অবশ্য মায়ের কাছে দেশের মানুষের মঙ্গল কামনা করেন তিনি। নিজের জন্য কিছুই চাননি। মন্দির থেকে বেরিয়ে নতুন করে তৈরি হওয়া মায়ের ভোগ মন্দিরে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই সৌর শক্তিকে কাজে লাগিয়ে রান্নার ব্যবস্থা হয়েছে। ওই ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন তিনি। তারপরই মা তারার ভোগ হাতে নিয়ে খাওয়ার পর বেরিয়ে যান মন্দির থেকে। এদিন সংবাদ মাধ্যমকে কিছু বলতে চাননি তিনি। তবে মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, “শৃঙ্গার পূজো দিয়েছেন মায়ের।

মুখ্যমন্ত্রী তারাপীঠের উন্নয়নের জন্য উন্নয়ন পর্ষদ গঠন করে দেন। তাঁর উদ্যোগেই আমুল পরিবর্তন হয়েছে মন্দিরের। উনি কাজ দেখে খুশি”। উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ করার পর মুখ্যমন্ত্রী এলেন। তিনি সূচনা করে দিলেন দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজের।

পাঁচ কোটি টাকার কাজ হবে”। এদিকে এদিন মুখ্যমন্ত্রী তারাপীঠের মন্দির থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন। রাস্তার দুধারে কাতারে কাতারে মানুষ দাঁড়িয়ে আছেন মুখ্যমন্ত্রীকে একবার চোখের দেখা দেখতে। এদিন হাসিমুখে তাদের নমস্কার জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

চলতে চলতেই তিনি আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তারাপীঠের উন্নয়নের কাজ সম্পর্কে জানতে চান। আর একটি তোরণ কোথায় হবে প্রশ্ন করেন। আশিষবাবু জানান ফোর লেন রাস্তা হয়ে গেলে আরও একটি তোরণ হবে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here