জৈদুল সেখ, মুর্শিদাবাদঃ
বৃহস্পতিবার সকাল দশটা নাগাদ তারাপীঠের এক হোটেল ঘর থেকে যুবতীর মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। ঘটনার পর থেকেই ওই যুবতীর স্বামী নুরুল ইসলাম পলাতক বলে জানা যায়। হোটেল রেজিস্টার থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে মৃতের নাম রুবিনা খাতুন। পরবর্তীতে পুলিশ জানতে পারে তার মায়ের নাম সুইটি খাতুন, লালবাগ থানায় মতিঝিলে বাড়ি। মৃত রুবিনা খাতুনের স্বামী নুরুল ইসলাম, পিতা নজরুল সেখ ওমরাহগঞ্জের বাসিন্দা। নজরুল সেখ হাজারদুয়ারিতে কর্মরত বলে জানা গেছে।
হোটেল সূত্রে জানা যায়, সকাল সাতটা নাগাদ এদের ঘর ছাড়ার কথা ছিল কিন্তু সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর তাদের মোবাইলে ফোন করলে সুইচ অফ পাওয়া যায়। পরে অনেক ডাকাডাকি করার পর ঘরের ভিতর থেকে সাড়া না পেয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে খবর দেয় । পুলিশ হোটেলে এসে ডুবলিকেট চাবি দিয়ে ঘর খুলে দেখে যুবতীর মাস্ক পরা প্রাণহীন দেহ বেডের উপর পড়ে রয়েছে। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রামপুরহাট হসপিটাল মর্গে পাঠায়।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মুর্শিদাবাদ থানার ওমরাগঞ্জের বাসিন্দা নজরুল শেখের ছেলে নুরুল ইসলামের সঙ্গে রুবিনা খাতুনের বিয়ে হয়েছে এক বছর। যদিও বিয়ের আগে প্রেমের সম্পর্কে একাধিকবার রুবিনার সঙ্গে ঘর ছেড়েছিল নুরুল। তারপর বাধ্য হয়েই পরিবারের লোকজন রুবিনার সঙ্গে নুরুলের বিয়ে দেয়।
আরও পড়ুনঃ কান্দিতে জল যন্ত্রণা! অল্প বৃষ্টিতেই বাড়ির মধ্যে আসছে জল
পরিবার সূত্রে আরও জানা যায়, হাজার দুয়ারির পাশাপাশি নুরুল ইসলাম বহরমপুর মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের অস্থায়ী কর্মী হিসেবেও কাজ করত। রুবিনার মামা রাজেশ সেখ বলেন, পরিকল্পিত ভাবে এই খুন করা হয়েছে। আমরা চাই দোষীর উপযুক্ত শাস্তি হোক।
শুক্রবার সন্ধ্যার সময় নুরুল ইসলাম লালবাগে নিজের বাড়িতে আসতেই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর রামপুর হাট থানায় নিয়ে যাওয়া হয় পুলিশি তদন্তের জন্য।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584