শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
যেন ফিরে এল সেই ৬ বছর আগে ২০১৪ সালে ১৪ এপ্রিলের ঘটনা। ফের মা এবং দুই মেয়েকে ধারালো অস্ত্র ও শিলনোড়া দিয়ে খুন করার চেষ্টা করেন এক ব্যক্তি।
ঘটনায় দুই মেয়ে বেঁচে গেলেও মৃত্যু হয়েছে তাদের মা আকিদা বেগমের (৪৫)। দুই মেয়ে সাগুফতা ও তাইবা গুরুতর আহত অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আত্মসমর্পণের পর গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত সুলতান আনসারি কে।
আরও পড়ুনঃ পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন প্রধাননগর থানার এক কনস্টেবল সহ ৪ জন
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে এরকমই একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল একবালপুরের সুধীর বসু রোডে। দুই মেয়েকে নিয়ে বাড়ি থেকে রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ ছিলেন মা৷ অবশেষে ২১ দিন পর যে আবাসনে দুই মেয়েকে নিয়ে থাকতেন ওই মহিলা, সেখানকারই এক প্রতিবেশীর দোকানের মেঝে খুঁড়ে প্লাস্টিকের ব্যাগে মিলেছিল তিনজনের পচাগলা দেহ৷ সেই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্ত সিকন্দর সহ ৪ জনকে।
আরও পড়ুনঃ করোনা আক্রান্ত শুভেন্দু
এদিনের ঘটনাও যেন অনেকটা সেরকমই। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২ টা নাগাদ এলাকায় সবাই তখন জুম্মার নমাজ পড়তে গিয়েছিলেন। আগে থেকেই পরিকল্পনা করে রেখেছিল আততায়ী। সেই মতো বহুতলে স্বামীহীনা আকিদা বেগমের ঘরে ঢোকে ওই যুবক তথা তার দেওর সুলতান আনসারি।
আরও পড়ুনঃ মেমারিতে সাঁতরে নদী পেরোতে গিয়ে মৃত বৃদ্ধ
তারপর প্রথমে বচসায় জড়িয়ে পড়ে। তারপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় মহিলা ও তাঁর ২ মেয়েকে। তারপর শিলনোড়া দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করে আকিদা বেগমকে। এই সময়েই আর্তনাদ শুনে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে আকিদা বেগমকে মৃত ঘোষণা করা হয়। ঘটনাস্থলে আসে একবালপুর থানার পুলিশ।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন কলকাতার পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। পারিবারিক বিবাদ থেকে এই ঘটনা বলে মন্তব্য করেন তিনি। সেই সময়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেলেও পরে একবালপুর থানায় আত্মসমর্পণ করে এক ব্যক্তি। যদিও সে জানত, সে ৩ জনকে খুন করে এসেছে। তারপর তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঠিক কী কারণে খুন, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584