স্ত্রীকে খুন করে থানায় স্বামী! চাঞ্চল্যকর ঘটনা কলকাতায়

0
56

মোহনা বিশ্বাস, কলকাতাঃ

পরকীয়া সন্দেহে বৃহস্পতিবার সাত সকালে স্ত্রীকে খুন করে থানায় গেলেন স্বামী। খাস কলকাতায় ঘটল এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা। স্ত্রী মুনমুন দাসকে গলা টিপে খুন করে থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেন তাঁর স্বামী সঞ্জয় দাস। এরপর সঙ্গে সঙ্গে সঞ্জয়ের বাড়িতে ছুটে যায় চিৎপুর থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে গিয়ে মুনমুনের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্তকে। তদন্তের স্বার্থে মৃতার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জেরা করা হবে বলেই জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।

Murder
প্রতীকী চিত্র

কলকাতার চিৎপুরের বীরপাড়া রাজা মনীন্দ্রচন্দ্র রোডের বাসিন্দা ছিলেন সঞ্জয় দাস। পেশায় অটোচালক। স্ত্রী মুনমুন দাস ও ১৮ বছরের ছেলের সঙ্গে একটি বাড়ির তিনতলায় ভাড়া থাকতেন সঞ্জয়। জানা গিয়েছে, এলাকায় একটি কেকের দোকানে কাজ করতেন মুনমুন। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, তেমন কোনও অশান্তির খবর তাঁদের কাছে ছিল না। সঞ্জয় ও মুনমুনের ২১ বছরের দাম্পত্য জীবন। রয়েছে ১৮ বছরের এক পুত্র সন্তানও। জানা গিয়েছে, এলাকায় একটি কেকের দোকানে কাজ করতেন মুনমুন।

আরও পড়ুনঃ সিবিআই সদর দফতরে আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন

পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন সকাল ১০ টা নাগাদ চিৎপুর থানায় হাজির হন সঞ্জয় দাস নামে ওই ব্যক্তি। তিনি নিজেই পুলিশকে জানান যে তিনি তাঁর স্ত্রী’কে গলা টিপে মেরে ফেলেছেন। সঞ্জয়কে নিয়েই তাঁদের বাড়িতে যায় পুলিশ। মুনমুনের গলায় আঘাতের চিহ্নও রয়েছে। শ্বাসরুদ্ধ করে খুন করা হয়েছে বলেই প্রাথমিক অনুমান।

আরও পড়ুনঃ পুলিশ আধিকারিক সেজে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা

সঞ্জয় পুলিশকে জানিয়েছে পরকীয়া সন্দেহেই খুন করেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই দেহটি উদ্ধার করছে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, এদিন সকালে বাড়িতে ছিল না ওই দম্পতির ছেলে। স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই কাজে বেরনোর জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন। সেই সময় ফের অশান্তি বাধে তাঁদের মধ্যে। যার পরিণতি হয় মৃত্যু। তবে শুধু সন্দেহের বশে সঞ্জয় এই কাজ করেছে নাকি এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য আছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here