নবনীতা দত্তগুপ্ত, বিনোদন ডেস্কঃ
‘কী করে বলব তোমায়’ ধারাবাহিকের সুন্দরী ভিলেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর ফ্যান সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। একইভাবে তাঁর দুষ্টু বুদ্ধি, ষড়যন্ত্রী মনোভাব নিয়ে তোলপাড় হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমনকী অনেকে তাঁকে ‘নাগিন’ বলেও সম্বোধন করেছেন। যদিও সেই সবে পাত্তা দেন না ‘কী করে বলব তোমায়’ ধারাবাহিকের অ্যান্টাগনিস্ট পায়েল সেন থুড়ি মানসী সেনগুপ্ত।
সমালোচনাকে প্রশংসা বলে মনে করেন মানসী। বলেন, “আমাকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে মানে আমাকে মানুষ দেখছেন। আমি দর্শকের মনে রাগের সঞ্চার করতে পারছি মানে আমি তাদের নজরে থাকি। এটাই আমার সাফল্য, আমার পাওয়া।” এহেন মানসীকে ছোটবেলায় সবাই সরস্বতী ঠাকুর বলে ডাকত। কথাটা তিনি শেয়ার করলেন নিউজ ফ্রন্টের সঙ্গে।
আরও পড়ুনঃ টিম ‘কলকাতার হ্যারি’র অনন্য উদ্যোগ
জানতে চেয়েছিলাম, ছোটবেলার সরস্বতী পুজোর কথা মনে পড়ে কিনা। মানসী জানান- “মিস করি। যেগুলো তখন হত কিন্তু এখন আর হয় না সেগুলো তো মিস করারই কথা। খুব মনে পড়ে, মা ভোর পাঁচটার সময় তুলে গায়ে হলুদ মেখে স্নান করতে বলত। কিছুতেই উঠতে ইচ্ছে করত না শীতের লেপ ছেড়ে। কিন্তু উঠতে হতই। নিজের বাড়ির পুজো৷ তার উপরে আবার বিদ্যার দেবী। এদিক ওদিক হলেই রেজাল্ট গেল, এই কথাটা মনের কোথাও গিয়ে মাথায় ধাক্কা দিত। স্নান সেরে পুষ্পাঞ্জলি দিতাম। তারপর তো বন্ধুদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাত হতই। আজ আর সেগুলো একেবারেই হয় না।”
আরও পড়ুনঃ প্রোমো দেখে পরিচিতরা চিনতে পারেনি আমায়ঃ ইধীকা পাল
সরস্বতী পুজো প্রসঙ্গে মানসীর মধ্যে বেশ একটা সেন্টিমেন্ট মিশ্রিত নস্ট্যালজিয়ার বহিঃপ্রকাশ স্পষ্ট বোঝা গেল। মানসী জানান- “এই প্রসঙ্গে একটা কথা না বলে পারছি না। ছোটবেলায় চেনাপরিচিত সবাই আমায় সরস্বতী ঠাকুর বলে ডাকত। জানি না কেন। আমি ভাল গানও গাইতাম না। সেভাবে কিছুর সঙ্গে এনগেজও ছিলাম না। তবু জানি না কেন, আমাকে দেখে সবাই ওই সরস্বতী ঠাকুর নামেই ডাকত।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584