পূর্বস্থলীর আম ভিন রাজ্যে আমদানি হওয়ায় খুশি আম চাষিরা

0
200

শ্যামল রায়, পূর্বস্থলীঃ

পূর্বস্থলীর সুস্বাদু আম বিভিন্ন রাজ্যে আমদানি হবার কারণে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন আম চাষিরা। এর ফলে আমের দাম অনেকটাই সাধারণ মানুষের আয়ত্তের মধ্যে এসে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বুধবার পূর্বস্থলী থানা এলাকার পারুলিয়া বাজার ও কালেকাতলা বাজার সূত্রে জানা গিয়েছে যে পূর্বস্থলীর আমের কদর বিভিন্ন রাজ্যে যথেষ্ট রয়েছে।

mango | newsfront.co
প্রতীকী চিত্র

করোনাভাইরাসের কারণে আমরা খুব চিন্তিত হয়ে পড়েছিলাম আদৌ আম বিক্রি করতে পারবো কিনা। আনলক – ১ চালু হবার পর থেকে যানবাহন চলাচল শুরু করলে আমরা আম অন্যত্র পাঠাতে শুরু করেছি।” -বলে জানান আম চাষিরা।

বুধবার আম চাষিরা জানালেন যে, “আমরা অনেকটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারছি। কারণ পূর্বস্থলীর আমের কদর বিভিন্ন রাজ্যে যথেষ্ট রয়েছে তাই আমরা এখানকার হিমসাগর, আম্রপালি, মল্লিকা আম পাঠাতে শুরু করি এবং কিছুটা হলেও লাভের মুখ দেখতে পেয়েছি। এছাড়াও স্থানীয় মানুষজন অনেকটাই কম দামে আম কিনতে পারছেন।”

আরও পড়ুনঃ চোপড়ায় করোনা নিয়ে দেওয়াল লিখন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার

এদিন দুটি বাজারে হিমসাগর আমের দাম ছিল প্রতিকেজি ২৫ টাকা, আম্রপালি ছিল প্রতি কেজি ১৮ টাকা এবং মল্লিকা আমের দাম ছিল প্রতিকেজি কুড়ি টাকা। আম চাষিরা জানালেন এখানকার বিকল্প চাষের ব্যবস্থা রয়েছে আম চাষ এবং বিভিন্ন ধরনের নার্সারি ব্যবসা। লকডাউনের কারণে আমের ব্যবসা নিয়ে চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়েছিলেন তারা।

বর্তমানে অনেকটাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারছেন বলে তাদের অভিমত। অমিতাভ ভট্টাচার্য, সুবোধ সরকার, কেদার বিশ্বাস, দেবাশীষ ব্যানার্জী প্রমূখরা জানালেন যে পূর্বস্থলী থানা এলাকায় কমপক্ষে ত্রিশটি ছোট-বড় আমের বাগান রয়েছে। এইসব বাগান খুব যত্নসহকারে আম ফলানোর জন্য সমস্ত রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকেন আমবাগানের মালিকরা। লকডাউন শুরু হতেই, আম যখন ধরতে শুরু করে তখন সকলের মধ্যে একটা আতঙ্ক কাজ করছিল।

আরও পড়ুনঃ পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে থাকার বার্তা মন্ত্রীর

আদৌ তারা এখানকার আম অন্য রাজ্যে আমদানি করতে পারবেন কিনা! মাঝে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন আম চাষিরা। বর্তমানে তারা অনেকটাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন অন্যত্র আমদানি করতে পারায়। স্থানীয় সিপিআইএম বিধায়ক প্রদীপ কুমার সাহা জানিয়েছেন যে, “এখানকার মূলত মানুষজনের জীবিকা আমের চাষ এবং নার্সারি ব্যবসা।

এই দু’টি চাষের উপর অনেকে নির্ভরশীল। কিন্তু মার্কেটিংয়ের ব্যবস্থা আরও ভালো হলে আম চাষিরা লভ্যাংশের মুখ ভালো ভাবে দেখতে পারতেন। কিন্তু অভাব হিমঘরের।”

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here