সিমা পুরকাইত, দক্ষিণ ২৪ পরগণাঃ
“বাংলার গর্ব মমতা” কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বড়সড় সাফল্য পেল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস। ২১শে বিধান সভা নির্বাচনের আগে বিজেপি, সিপিএম থেকে প্রায় দুই শতাধিক সক্রিয় কর্মী সমর্থক তৃণমূল কংগ্রেস দলে যোগ দেন।
সাগর ব্লকে মুড়িগঙ্গা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের মন্দিরতলার তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে এদিন যোগদান কর্মসূচি করা হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় পতাকা সদ্য দলত্যাগীদের হাতে তুলে দেন সাগর বিধানসভার বিধায়ক বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা।
মুড়িগঙ্গা -২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৪ জন সংসদের ১৭ টি বুথ থেকে যোগদান করে। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল ১৪টির মধ্য ১২টি, বিজেপি ১টি,সিপিএম ১টি আসন দখল করে। লোকসভা নির্বাচনে দুটি সংসদ বিরোধীদের দখলে থাকে। এবার সেই সংসদ থেকেই বড়সড় ভাঙন ।
আরও পড়ুনঃ প্রশাসনের জনসংযোগ কর্মসূচি
৩৬ নম্বর বুথের বিজেপির নেতৃত্বের হাত ধরে বহু কর্মী-সমর্থক যোগ দেন। পাশাপাশি ৩০ নম্বর বুথে বিজেপির প্রাক্তন বুথ সভাপতি গোকুল দাস শতাধিক সর্মথককে নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন।
এ বিষয়ে তিনি জানান, ‘সাগরদ্বীপে একাধিক উন্নয়ন করে দিয়েছেন তৃনমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সৈনিক বঙ্কিম চন্দ্র হাজরা। বিরোধীদের বুথ হলেও উন্নয়ন ছিল চোখে পড়ার মতো। যা সাধারন মানুষের কাজে অন্যমাত্রা তৈরী করে’।
পাশাপাশি বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল থাকায় তেমন কাজ করতে পারছিলেন না বলে দাবি প্রাক্তন এবং দলত্যাগী বিজেপির বুথ সভাপতি গোকুল দাসের। তাই এই দল ত্যাগের সিদ্ধান্ত।
অন্যদিকে দলত্যাগী নিতাই শীঠ বলেন, “বিজেপি দল সম্মান করছিল না অন্যান্য নেতৃত্বকে। এমনকি মথুরাপুর লোকসভা জেলা নেতৃত্ব তাদেরকে সহযোগিতা হাত বাড়াচ্ছিল না । যার ফলে বীতশ্রদ্ধ হয়ে এই দলত্যাগ”।
এদিন বিধায়ক অরফে সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা বলেন, “সাগর ব্লকে মুড়িগঙ্গা -২ গ্রামপঞ্চায়েত ২০০৩ সাল ২০০৮ সাল তৃণমূল কংগ্রেস দখলে রাখে। ২০১৩ মাত্র আড়াই বছর সিপিএম দখল করলেও আবারও তৃণমূল কংগ্রেস দখলে নেয়।
তারপর থেকে তৃণমূল দুর্মস করে রেখেছে বিরোধীদের। এই গ্রাম পঞ্চায়েতে যে সতেরোটি বুথ রয়েছে, সেখানে প্রতিটি বুথ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার জন্য বারবার জানিয়েছিলেন দলত্যাগীরা। বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল, তাদের সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি এবং মিথ্যা উন্নয়নের কথাবার্তায় বীতশ্রদ্ধ করে দেয় সাধারণ মানুষকে।
যা দলের সর্মথকদের ভাবমূর্তি নষ্ট করে। দলের কর্মী সমর্থক তারা কোনভাবে বিজেপির এই সমস্ত কারুকার্য মেনে না নিতে পারায় দলত্যাগ করে। এবং তারপর তৃণমূলে যোগদান করে। তিনি আরও বলেন, “যারা বিজেপি থেকে আজ তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান দিয়েছেন একটা সময় তারা সিপিএম করতেন । যাতে করে ২০২১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস আবারও এখানে ক্ষমতায় আসতে পারে সেদিকে বদ্ধপরিকর।
সাগর ব্লক তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি স্বপন প্রধান বলেন, “বিজেপি, সিপিএম ছেড়ে যারা দলে এসেছেন তারা তৃণমূল কংগ্রেসের ভালো কাজের নিরিখে এই যোগদান করেছেন । যারা এসেছেন আগামী দিন তারা দলের পাশে থেকে আরও ভালো কাজ করবেন।”
এই একই সুর সাগর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মোহিত দাস এর গলায়। এদিন যোগদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মহিতোষ দাস, কর্মদক্ষ সামীর সাহ,সাগর ব্লক তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি স্বপন প্রধান, মুড়িগঙ্গা-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গোবিন্দ মন্ডল সহ আরও অন্যান্য নেতৃত্ব। ২১শে বিধানসভা নির্বাচনের আগে এমন কর্মসূচীতে কোন ঠাসা হল বিরোধী শিবির মত রাজনৈতিক মহলে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584