নিজস্ব সংবাদদাতা, বহরমপুরঃ
১৪ই ফেব্রুয়ারী দিনটি পালিত হয় “ভ্যালেন্টাইনস ডে ” হিসাবে যার নেপথ্যে আছে এক ব্যথিত ইতিহাস।বর্তমানে দিনটি ভালোবাসা দিবস নামেই পরিচিত।যদিও ভালোবাসার কোনো নির্দিষ্ট দিন নেই, তবুও আজকের দিনেই ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটাতে ব্যস্ত থাকে প্রত্যেকে।একবছর আগে থেকে বিনামূল্যে দুঃস্থ পড়ুয়াদের প্রথম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ানোর ব্যবস্থা করেছে বহরমপুরের এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।তারপর বস্ত্র বিতরণ, অসহায় মানুষ দের পাশে দাঁড়ানো,বিভিন্ন দিনে বিনামূল্যে খাবারের ব্যবস্থা করে এই সংস্থা।তাই আজ আবারো “ভ্যালেন্টাইনস ডে” কে স্মরণীয় করে রাখতে এগিয়ে এলো স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটি।
এই দিন পথচলতি, জীবন সংগ্রামে লড়ে চলা কিছু মানুষদের আপন করে নিল স্বেচ্ছাসেবীর সদস্যরা।মুর্শিদাবাদের বহরমপুর শহরের ব্যস্ততম এলাকা বহরমপুর কোর্ট স্টেশন,প্রাঙ্গণ মার্কেট,বিষ্ণুপুর কালিবাড়ী এবং পাতালেশ্বর এলাকার বিভিন্ন প্রান্তের ভালোবাসার মানুষ যাতে আজ অভুক্ত না থাকে তার জন্য তুলে দিলো মিষ্টির প্যাকেট সহ শুকনো খাবার,তৃষ্ণা নিবারণের জন্য জল, ঠান্ডা পানীয় ফ্রুটি এবং উপহার স্বরূপ তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস।আজকের এই কর্মকাণ্ডের উদ্যোক্তা সংস্থার সহসম্পাদক অনিন্দ্য কুমার রায়চৌধুরী বলেন, ” আমরা মুহূর্তের উত্তেজনায় নয় প্রকৃত ভালোবাসার মানুষদের জন্য এধরনের প্রচেষ্টা আমাদের অবিরাম। ভালোবাসা যদি দিতে নিতেই হয় তবে এদের কাছে আসতেই মন চাই।ভবিষ্যতে এই ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করতেই থাকব।”
অপর আর একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে ভালবাসার এই দিনে আবেদন করা হয়েছিল আগামী পৃথিবীকে লাল ভালোবাসায় গড়ে তোলার জন্য,অর্থাৎ রক্ত দানের জন্য।আর এই দিনে এন জি ও ফোরাম এর ব্লাড অন কল পরিষেবায় এগিয়ে এলেন ৭ জন যুবক।কেউ নসিপুর,কেউ নবগ্ৰাম, কেউবা বহরমপুরের বাসিন্দা। বেশির ভাগ রক্ত দান করেন মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে।আজকের এই বিশেষ দিনে আগের থেকেই রক্ত দানের কথা বলে রেখেছিলেন কয়েক জন সদস্য।তারা এই কর্মকাণ্ডে ভীষণ খুশি।এছাড়াও মানবতার টানে যারা এগিয়ে এসেছেন তারাও খুশি।
আরও পড়ুনঃ লাল ভালবাসায় আগামী পৃথিবী গড়ার আহ্বান
আজ যখন সমস্ত যুবক যুবতীরা প্রেমে ব্যাস্ত।একে অপরকে নিয়ে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিতে ব্যস্ত সেইসময় পলাশীর একদল যুবক তারা পলাশী শহরের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে অসহায় মানুষদের মধ্যে শাড়ি, লুঙ্গি তুলে দিতে ব্যাস্ত।এছাড়া এরা শুধু বস্ত্র বিতরণের মধ্যেই আবদ্ধ না থেকে অসহায় পাগল, ফকির মানুষদের মুখে খাবার তুলে দেন।তারা তাদের কে হোটেলে নিয়ে গিয়ে সমস্ত পাগলদের দুপুরের খাবার খাওয়ান।শুধু আজকেই নই, এর আগেও এরা এই কর্মসূচি পালন করেছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584