নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্টঃ
জঙ্গলমহলে এখন থেকে আর সিভিক ভলান্টিয়ার দিয়ে সরানো যাবে না মাওবাদী পোস্টার, কড়া নির্দেশিকা জারি রাজ্য স্বরাষ্ট্র দপ্তরের। সম্প্রতি উড়িষ্যায় মাওবাদী পোস্টারকে কেন্দ্র করে একটি আইইডি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনাকে দৃষ্টান্ত হিসেবে তুলে ধরে জঙ্গলমহলের পুলিশের শীর্ষকর্তাদের সতর্ক করল রাজ্য সরকার।
গত চারবছরে জঙ্গলমহলের বিভিন্ন এলাকায় বহুবার মাওবাদী পোস্টার উদ্ধার হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিসের ধারণা হয়, স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে মাওবাদী সংক্রান্ত বিভ্রান্তি ছড়াতেই স্থানীয় দুষ্কৃতী এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকেই এমন পোস্টার মারা হচ্ছে। কিন্তু অতি সম্প্রতি বাঁকুড়ার বারিকুলে মাওবাদী পোস্টার সহ দুই লিঙ্কম্যান গ্রেপ্তার হয়। এছাড়াও উড়িষ্যায় দুটি দুর্ঘটনা ঘটে। তারপরেই নিজেদের অবস্থান বদলায় রাজ্য প্রশাসন।
পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এবং বীরভূম জেলার পুলিস কর্তাদের মাওবাদী পোস্টার সরানো বিষয়ে রাজ্যের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, মাওবাদী পোস্টারের নেপথ্যে যে আইইডি ফাঁদ বা ‘বুবি ট্র্যাপ’ থাকতে পারে সে সম্পর্কে পুলিসের নিচুতলার কর্মীদের অবিলম্বে সতর্ক করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ আনিস খুনে ‘রাজ্য সরকারের পুলিশ’ দায়ী বলে মন্তব্য বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার
প্রতীকী ছবিসব ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়ে পোস্টার সরানোর আগে আইইডি নিষ্ক্রিয় করতে হবে। তারপরেই হাত দেওয়া যাবে মাওবাদীদের পোস্টার ও ফেস্টুনে। যে কোন দুর্ঘটনা এড়াতে আর্দশ বিধি মেনে এই কাজ করবেন প্রশিক্ষিত পুলিস কর্মীরাই। কিন্তু এক্ষেত্রে উঠছে প্রশ্ন আদৌ কি এত সংখ্যক ‘প্রশিক্ষিত’ পুলিশ কর্মী পাঁচ জেলার সব থানাতে রয়েছে? এবং বিষয়টি স্বরাষ্ট্র দপ্তরের অজানা তাও নয় তাহলে কি এটিও একটি ‘রুটিন’ নির্দেশিকা!
আরও পড়ুনঃ ভারতীয় নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়ার পরামর্শ দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি ভারতীয় দূতাবাসের
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584