থানা চত্বরে মালাবদল সিঁদুরদান

0
6400

নিজস্ব সংবাদদাতা,আরামবাগঃ
একে বারে থানা চত্বরে মালা বদল।সিঁদুর দান। মিষ্টি মুখ।সবই হল।আর সাক্ষী থাকলেন থানার ডিউটি রত সমস্ত কর্মী। সাক্ষী থাকলেন এলাকার বহু মানুষ জন।
মধ্যস্ততায় মানবাধিকার সংরক্ষন সংঘ। কিন্তু আরামবাগ থানা ও আরামবাগের এসডিপিও যথেষ্টই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেন।
ঘটনা আরামবাগের মায়াপুর ১ নং অঞ্চলের হাটবসন্ত পুর গ্রামের।
পাত্র বিজয় মন্ডল।পাত্রী, শ্রেয়া চিনা।
কিন্তু কেনই বা থানায় আসতে হল তাদের।কেনই বা মানবাধিকার সংগঠনের কর্তা ব্যক্তিদের আসতে হল।

নিজস্ব চিত্র

বছর চারেক ধরে, একই গ্রামের দুই ভিন্ন পাড়ার বাসিন্দা বিজয় মন্ডল আর শ্রেয়া চিনার মধ্যে ভাব ভালবাসা ও প্রেম হয়।তার পর দুজনের মধ্যে প্রনয় আরোও গভীর হয়। শেষ মেষ দুজনেই সিদ্ধান্ত নেন যে তারা বিয়ে করবেন কারণ দুজনেই প্রাপ্ত বয়স্ক।তাই কথা যেমন, কাজও তেমন। গত মে মাসে দুজনেই রেজিস্ট্রি করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু এই সম্পর্কের কথা শ্রেয়ার পরিবার জানতে পারার পরই শ্রেয়ার ওপর অকথ্য অত্যাচার শুরু হয়ে যায়।ঘরের ভিতরে শিকল দিয়ে আটকে রাখা হয় শ্রেয়া কে। শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চলে বলে অভিযোগ। এর পরেই এই খবর যায় বিজয়ের কাছে। খবর পাওয়া মাত্রই বিজয় শ্রেয়া কে আনতে তার বাড়ি তে হাজির হন। তখন শ্রেয়াকে জোর জবরদস্তি মারধর করে বাড়িতে আটকে রাখা হয়। এর পরেই বিজয় আরামবাগ থানার দ্বারস্থ হলেও প্রথম পর্যায়ে কোন সহযোহিতা পান নি। পরে তিনি ভারতীয় মানবাধিকার সংরক্ষণ সংঘের রাজ্য সভানেত্রী সঙ্গিতা চক্রবর্তী র সাথে যোগাযোগ করেন। এই সংগঠনের সভানেত্রী ও তার অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে আরামবাগের এসডিপিও এর দ্বারস্থ হন। এসডিপিও কৃষাণু রায় তৎক্ষণাৎ ই পুলিশ পাঠান।পুলিশ শ্রেয়া ও বিজয় কে নিয়ে এলে শ্রেয়া থানায় লিখিত ভাবে মুচলেখা দেন যে তিনি স্ব ইচ্ছায় এসেছেন ও বিজয় কে বিয়ে করছেন। তিনি স্বামী বিজয় মন্ডল এর কাছে যেতে চান।

নিজস্ব চিত্র

এর পরেই সকলের সামনে রীতিমত মালা বদল ও সিঁদুর দান করে বিবাহ সম্পন্ন হয় যার সাক্ষী ছিলেন এলাকার বহু মানুষজন ও থানার ডিউটি রত সমস্ত পুলিশ কর্মী।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here