নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব মেদিনীপুরঃ
প্রেমিকের হাতে প্রেমিকা খুন। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকের আবাস বাড়িতে। মৃত প্রেমিকার নাম মানসী পতি রানা(২১)। তমলুকের নকীবসান গ্রামের মানসী পতির ৬ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল তমলুকের সৈয়দপুর গ্রামের মন্টু রাণার সঙ্গে। বর্তমানে সাড়ে তিন বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। বছর খানেক আগে কার্য সূত্রে স্বামী মন্টু রানা কলকাতায় চলে যায়। স্বামীর অনুপস্থিতিতে বাজার ঘাট করতে হতো স্ত্রী মানসী পতিকে। সেই সুবাদে তমলুকের ভুবনেশ্বরপুর গ্রামের ধর্মতলা বাজারে একটি মাংসের দোকানের মালিক যুবক সনাতন জানার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
অবৈধ সম্পর্ক অনেক দূর পর্যন্ত গড়ায়। অবৈধ সম্পর্কের কথা জানা জানি হওয়ার ফলে স্বামী মন্টু রানার সঙ্গে অশান্তি শুরু হয়। যার ফলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলে তমলুক আদালতে। গত চার মাস আগে মানসী পতি তমলুকের নকীবসানে বাপের বাড়িতে চলে যায়। গত তিনদিন আগে তমলুকের আবাস বাড়ি এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে ওঠে সনাতন জানা এবং মানসী পতি প্রেমিক প্রেমিকা দুজনে।
রবিবার সকাল ১১ টায় সনাতন জানা মানসী পতিকে হাসুয়া দিয়ে কোপ মারে গলায়। যন্ত্রণায় প্রাণ বাঁচাতে পালানোর চেষ্টা করে মানসী পতি। সেই সময় দ্বিতীয় বার গলায় কোপ মেরে খুন করে মানসী পতিকে। ঘটনা স্থলে এলাকাবাসী ভিড় জমায়। খবর পেয়ে তমলুক থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তমলুক মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অতীশ বিশ্বাসের নেতৃত্বে তদন্তে নেমে তমলুক এলাকা থেকেই দু’ঘণ্টার মধ্যেই সনাতন জানাকে আটক করে। কি এমন ঘটনা ঘটলো যাতে করে প্রেমিকা মানসী পতি কে খুন করতে হলো প্রেমিক কে? এটাই এখন তদন্ত করছে তমলুক থানার পুলিশ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584