নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রামঃ
ঝাড়গ্রামের প্রশাসনিক সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন পুজোর সময় দূরত্ব বজায় রেখে অনুষ্ঠান করা যাবে এবং মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। সে বিষয়ে মুখ্যসচিবের নির্দেশিকাও এসেছে। এই উপলক্ষ্যে ঝাড়গ্রাম পুর প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনেকগুলি কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
১৫ই অক্টোবর শহরের আনন্দপল্লী,সত্যবানপল্লী–কাঁটাবাড়ি,শিরিষচক-কদমকানন এলাকায় সমস্ত লোধা-শবর পরিবারকে পুরসভার নামাঙ্কিত মাস্ক বিলি করেন ঝাড়গ্রামের মহকুমা শাসক তথা পুরসভার প্রশাসক সুবর্ণ রায়। সাথে ছিলেন পুরসভার নির্বাহী আধিকারিক, ১ ও ১৩ নং ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলাররা।
আরও পড়ুনঃ আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চা বাগানের শ্রমিকদের খাদ্য সামগ্ৰী বিতরণ
এছাড়াও মহকুমা শাসক প্রত্যেক লোধা-শবর পরিবারের হাতে তুলে দেন শাড়ি, ধুতি ও বাচ্চাদের জামাকাপড়। ১৬ই অক্টোবর এই কর্মসূচি পালিত হবে ৫ নং ওয়ার্ডের চাঁদাবিলা, ভালুকখুলিয়া অঞ্চলে।মহকুমা প্রশাসন সূত্রে খবর, মোট ৩২৫ টি লোধা-শবর পরিবারের সকল সদস্যকে উৎসবের পূর্বে নতুন জামাকাপড় ও মাস্ক প্রদান করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ এপিজে আব্দুল কালামের জন্ম বার্ষিকী উদযাপন ডোমকল এসডিপিও অফিসে
এ বিষয়ে ঝাড়গ্রামের মহকুমা শাসক সুবর্ণ রায় জানান, “এই পরিষেবার পাশাপাশি আরও কয়েকটি সচেতনতা মূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শহরের জনবহুল এলাকা এবং যে সব স্থানে উৎসবের সময় অনেক জনসমাগমের সম্ভাবনা আছে সেরকম সাতটি স্থানে সাতটি বড়ো কোভিড-১৯ সচেতনতামূলক ব্যানার শারদ শুভেচ্ছার অঙ্গ হিসাবে লাগানো হচ্ছে। এছাড়াও বিগত সাত মাস ধরে শহরের ছিমছাম মোড়, পাঁচ মাথা মোড় ও সুভাষপার্ক এলাকায় সকাল থেকে রাত্রি পর্যন্ত স্ট্যাণ্ড পোস্টে মাইকে প্রচার চলছে। আগামী রবিবার থেকে বিজয়া-দশমী পর্যন্ত প্রত্যেকটি পুজো মণ্ডপের সামনে, জনবহুল এলাকায় ও বাজারে টোটোতে দিবারাত্র ভ্রাম্যমান প্রচার করা হবে। সকলে উৎসব পালন করুন সঠিক স্বাস্থ্যবিধি ও রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা মেনে।” এছাড়াও পুর এলাকায় প্রায় একশোটি ছোট সচেতনতামূলক ব্যানার লাগাচ্ছে মহকুমা প্রশাসন বলে জানা গিয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584