নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থান থেকে মসজিদ সরানোর মামলা গ্রহণ করলো মথুরার জেলা আদালত। মথুরায় শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমির অধিকার এবং সেই জমিতে অবস্থিত মসজিদ সরানোর দাবিতে একটি মামলা দায়ের হয়েছিল শ্রীকৃষ্ণ বিরাজমানের তরফে। কৃষ্ণ জন্মভূমির জমি থেকে ইদগাহ সরানোর দাবিতে মামলা করেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, সপ্তদশ শতাব্দীতে মন্দিরের একাংশ ভেঙে মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব মসজিদটি তৈরি করেন।
এরপর গত ২ অক্টোবর মথুরার অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক ছায়া শর্মা মামলাটি খারিজ করে দেন। মামলাকারীদের কোনও গুরুত্ব দিতে রাজি হননি তিনি। শুক্রবার বিচারক সাধনা রানি মামলাটি শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন। আগামী ১৮ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি।
মামলায় দাবি করা হয়, মসজিদ ট্রাস্ট কিছু মুসলিমদের সহযোগিতায় শ্রীকৃষ্ণ জন্মস্থান ট্রাস্টের অন্তর্গত কাটরা কেশব দেবের সম্পত্তিতে ভোগ দখল করেছে। এই জমি দখল করার কোনও অধিকার মসজিদ ট্রাস্টের নেই।
আরও পড়ুনঃ বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে নীচের দিকে ভারত! এগিয়ে পাকিস্তান বাংলাদেশ নেপাল
পিটিশন বলা হয়েছে, ১৯৬৮ সালের ১২ অক্টোবর মসজিদ ট্রাস্টের কর্মকর্তারা শ্রীকৃষ্ণ জন্মস্থান সেবা সংঘের মদতে এই জমি দখল করেছে। হিন্দু আইন অনুযায়ী, বিগ্রহের সম্পত্তি কেউ দখল করতে পারে না। কোনও স্থাপত্য নষ্ট করাও যাবে না।
আরও পড়ুনঃ বলবিন্দরের স্ত্রীকে উপহার মুখ্যমন্ত্রীর, আজ ছাড়া পাওয়ার সম্ভাবনা
সর্বোপরি, যে কোনও সময়ে সেই সম্পত্তি পুনরুদ্ধার করা যায়। পিটিশনে আরও বলা হয়েছে, মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের আমলে উত্তর ভারতে বহু হিন্দু ধর্মীয় স্থান ধ্বংস করা হয়েছে। কাটরা কেশব দেবে স্থিত শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরও ১৬৬৯-৭০ সালের মধ্যে মুঘল সেনা আংশিক ধ্বংস করে এবং বলপূর্বক সেখানে শাহী ইদগাহ নির্মাণ করে।
হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং সাধু-সন্তরা কিছুদিন আগেই অযোধ্যার মত কাশী-মথুরা পুনরুদ্ধার করার ডাক দিয়েছিলেন। তারই জেরে এই মামলা বলে মনে করা হচ্ছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584