নবনীতা দত্তগুপ্ত, বিনোদন ডেস্কঃ
নোয়ার জীবনে উঠেছে ঝড়। সেই ঝড়ের হাওয়ায় ওলটপালট কিয়ানের মন। তার মনটা আজ আর একটা নেই। ভাগ হয়ে গিয়েছে দুভাগে। এই কথা নিজেই স্বীকার করেছে সে। ওদিকে দুজনের আজ আদালতে গিয়ে সম্পর্ক নিষ্পত্তি করার পালা। সত্যিই কি আলাদা বাঁক নেবে দুজনের পথ, নাকি মিলে যাবে চার হাত? এই প্রশ্নে মুখর ফ্যানকূল।
কিন্তু সাম্প্রতিক প্রোমোতে নোয়াকে দেখা যাচ্ছে বধূবেশে। লাল বেনারসিতে সে একেবারে টুকটুকে পুতুল বউ। মুখুজ্যে বাড়িতে আনন্দের জোয়ার। দাদান আজ দারুণ খুশি। কিয়ানেরও নোয়াকে অস্বীকার করার যন্ত্রণা ঘুচে গেছে। সে নোয়াকে পেয়ে খুশি। এই আনন্দঘন মুহূর্ত থাকবে তো টিকে? কেননা, প্রোমোতে দেখানো হচ্ছে দরজা খুলছে না কিয়ানের মা অন্তরা। কী হল তার? সে কি মেনে নিতে পারছে না ছেলের এই বিয়েটা? নাকি অতীত হঠাত করে সামনে এসে দাঁড়ানোয় সে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে ঘটিয়ে ফেলল কোনও অপ্রীতিকর কাণ্ড? অপেক্ষা এবার সেটা দেখার৷
আরও পড়ুনঃ ‘মুখোশ’ধারীর খোঁজ চলছে ওটিটিতে
বলাবাহুল্য, ইতিমধ্যেই দর্শক হৃদয়ে নাড়া দিয়েছে অন্তরার প্রাক্তন প্রেমিক তথা ধারাবাহিকের দাপুটে এস পি। স্বরূপনগর এবং দিকশূন্যপুর এখন তারই দায়িত্বে৷ তার কথা বলার ধরন, আদবকায়দা, দোর্দণ্ডপ্রতাপশালী ব্যক্তিত্বে কাবু হয়েছে ‘দেশের মাটি’ ধারাবাহিকের প্রায় সকল দর্শকই। বলে রাখা ভাল এই চরিত্রের অভিনেতা বাস্তবেও একজন পুলিশ অফিসার। পুলিশের জলপাইগুড়ি রেঞ্জের ডি আই জি তিনি। একইসঙ্গে লেখক। ‘দেশের মাটি’ ছাড়াও ‘মোহর’ ধারাবাহিকেও দেখা যাচ্ছে তাঁকে।
আরও পড়ুনঃ দাদা সাহেব ফালকে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে মরণোত্তর পুরস্কার সুশান্তকে
অন্তরার ছেলে কিয়ান আর নোয়ার মধ্যে সম্পর্কের সেতু পাকা করতে এস পি’র কি কোনও ভূমিকা থাকবে? সেটাও দেখার বিষয়৷ তবে, গল্পে অন্য বাঁক আসছে তা বোঝা যাচ্ছে। একদিকে কিয়ান-নোয়ার সম্পর্কের ভাঁজ অন্যদিকে এস পি এবং অন্তরার পূর্ব প্রেমের অনুরণন- সব নিয়ে ‘দেশের মাটি’ দর্শকমনে জায়গা করে নিয়েছে ভাল রকমের। ‘দেশের মাটি’ দেখুন প্রতিদিন সন্ধে সাড়ে ৬ টায়, স্টার জলসায়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584