দাড়িভিটে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যদল

0
85

তপন চক্রবর্তী,উত্তর দিনাজপুরঃ-

উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের দারিভিট গ্রামে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার ২১ দিনের মাথায় বৃহস্পতিবার দিল্লী থেকে ডিআইজি ছায়া শর্মার নেতৃত্বে জাতীয় মনবাধিকার কমিশনের পাঁচ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল তদন্তে এলেন।

মানবাধিকার কমিশনের ওই প্রতিনিধিদল মৃত দুই ছাত্র রাজেশ সরকার ও তাপস বর্মনের পরিবারের সাথে দেখা করে তাদের সাথে কথা বলেন। কথা বলেন দাড়িভিট গ্রামের মানুষদের সাথেও। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা তদন্তের স্বার্থে মুখ খোলেন নি বলে জানা যায়। জানা গিয়েছে, আগামী ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত এই প্রতিনিধি দল দাড়িভিট এলাকায় তদন্তের কাজ চালাবেন।

চলছে জিজ্ঞাসাবাদ

২০ সেপ্টেম্বর উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের দাড়িভিট উচ্চ বিদ্যালয়ে পুলিশ ছাত্র সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় বিদ্যালয়ের দুই প্রাক্তন ছাত্র রাজেশ সরকার ও তাপস বর্মনের। এই ঘটনায় রাজ্যের রাজনীতি তোলপাড় হয়ে ওঠে । রাজ্য সরকার ঘটনার সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিলেও মৃত ছাত্রদের পরিবারের পক্ষ থেকে ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবিতে আন্দোলনের মাধ্যমে আজও বন্ধ করে রাখা আছে দাড়িভিট উচ্চ বিদ্যালয়। মৃতদের পরিবারের পক্ষ থেকে ঘটনার তদন্তের জন্য আবেদন করা হয়েছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনেও। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই আজ দিল্লী থেকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পাঁচ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে দাড়িভিট গ্রামে আসেন বলে জানা গেছে। দাড়িভিটে এসে প্রথমেই তারা দেখা করেন মৃত ছাত্রদের পরিবারের সাথে। তাদের সাথে কথা বলার পাশাপাশি গ্রামের বাসিন্দা ও দাড়িভিট বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের সাথেও কথা বলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ডিআইজি ছায়া শর্মার নেতৃত্বে থাকা পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল। মৃত ছাত্র তাপস বর্মনের মা মঞ্জু বর্মন জানান, ‘জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কর্তারা আমাদের কে কিছুই বলতে চাননি। প্রতিনিধি দলের সদস্যরাএলাকার ছাত্র ছাত্রীদের কছে গিয়ে খোঁজ খবর নেন। এলাকার বাসিন্দাদের কাছেও সমস্ত ঘটনাশুনে লিপিবদ্ধ করেছেন মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা।’ তবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ডিআইজি ছায়া শর্মা এব্যাপারে মুখ খুলতে চাননি।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here