নিজস্ব প্রতিবেদক, নিউজ ফ্রন্টঃ
‘সংখ্যালঘু দপ্তর থেকে একটা বিল্ডিংয়ের ব্যবস্থা করে দিতে বলুন, আরবি চালু হয়ে যাবে’, মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তরে আরবি সহ আরও বেশ কিছু বিষয় চালুর দাবি প্রসঙ্গে এমন মন্তব্য করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর সুজাতা বাগচী বন্দোপাধ্যায়।
মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে স্নাতকোত্তরে আরবী সাহিত্য, রসায়ন, প্রানীবিদ্যা,সাংবাদিকতা,মাস কমিউনিকেশন,লাইব্রেরি সায়েন্স,তুলনামূলক ভাষা প্রমুখ বিষয়কে স্নাতকোত্তর স্তরের পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়ে বুধবার উপাচার্যকে স্মারকলিপি জমা দেয় বেঙ্গল মাদ্রাসা এডুকেশন ফোরাম নামক শিক্ষক সংগঠন। প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন কাইসার রশিদ, মাসুদ নাস্তুর, আসিকুল আলম, মোশাররফ হোসেন, ফিরোজ আলী, সুরজ আলী, মুশফিকুর রহমান প্রমূখ।
ছাত্র সংগঠন এসআইও এবং ফোরামের তরফে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার সময় ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বলেন যে সংগঠনগুলোর আগে বিভিন্ন কলেজে আরবি পোস্টে নিয়োগের দাবি তোলা উচিত, যাতে করে শিক্ষক সমস্যা মেটে।তাঁর দাবি পরিকাঠামোগত কারণেই শুরু করা যাচ্ছেনা অন্নান্য বিষয়। এছাড়াও তিনি জানান- আগের সংখ্যালঘু প্রতিমন্ত্রী একটি বিল্ডিং করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। শিলান্যাসও হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু তারপর আর সেই বিল্ডিংয়ের কোনো খবর নেই। সংখ্যালঘু দপ্তর থেকে মুর্শিদাবাদের প্রায় প্রতিটি কলেজকে বিশাল পরিমাণ অর্থ সাহায্য করা হলেও বঞ্চিত রয়ে গেছে কেএন কলেজ ওরফে মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়। তার পরেই তিনি ক্ষোভ উগরে বলেন,’আপনারা সংখ্যালঘু দপ্তর থেকে বিল্ডিংয়ের ব্যবস্থা করে দিতে বলুন, আরবি সহ অন্যান্য বিষয় চালু হয়ে যাবে।’
অন্যদিকে ফোরামের তরফে মীর রবিউল ইসলাম জানান, “সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মুর্শিদাবাদে ১০০এর বেশি হাই মাদ্রাসা ও সিনিয়ার মাদ্রাসায় আরবি ও থিওলজি পড়ানো হয়। এছাড়াও জেলার ১৪টি কলেজেও আরবি ও থিওলজি বিষয়ে বি.এ অনার্স চালু রয়েছে। তাদের স্নাতকোত্তর পড়াশোনার জন্য হয় উত্তরবঙ্গ নয় আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হয়। তাই আমরা দাবি জানাচ্ছি এই শিক্ষাবর্ষ থেকেই আরবি, থিওলজি সহ আরও কয়েকটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হোক।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584