সিমা পুরকাইত, দক্ষিণ ২৪ পরগণাঃ
সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ জঙ্গলে পাখির বাসা তৈরি করে দেওয়ার কর্মসূচি নিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। জেলার ‘এমজিএনআরইজিএ’ দফতরের মধ্যমে সুন্দরবনের নদী সংলগ্ন এলাকার ম্যানগ্রোভ গাছে গাছে পাখির কৃত্রিম বাসা বানিয়ে দেওয়ার কাজ চলছে। আজ থেকে শুরু হয়েছে সেই কাজ।
এদিন ছোটো মোল্লাখালি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সাড়ে ৫০০ বাসা বানানো হয়েছে। ২০ মে ২০২০ তারিখের ‘আমপান’ ঝড়ে প্রচুর মানুষয়ের বাড়িঘর ভেঙে পড়েছে। বড়বড় গাছের ডালপালা ভেঙে পাখির বাসা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। নষ্ট হয়ে গিয়েছে অসংখ্য ডিম এবং মারা গিয়েছে সদ্যজাত ছানারা। জেলা আধিকারিক সৌরভ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন ‘আমপান ঝড়ে মানুষের প্রচুর বাড়িঘর ভেঙে গিয়েছে।
পশু পাখিদের বাসস্থান নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাই আমরা পাখিদের কৃত্রিম বাসা বানিয়ে দেওয়ার কর্মসূচি নিয়েছি। আপাতত আমাদের এক হাজার বাসা তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে।এই বাসা তৈরির কাজটা করছেন মূলত একশো দিনের কাজের সঙ্গে যুক্ত ম্যানগ্রোভ শ্রমিকরা। এদিন ২৫ জন শ্রমিক এবং তাদের পরিবারের স্কুল পড়ুয়া ছেলেমেয়েদের নিয়ে গাছে গাছে মাটির ভাঁড়ের বাসা বাঁধা হয়েছে।
এদিন ছোটো মোল্লাখালি নদীর চড়ে কেওড়া, ধুঁদুল, পশুর এবং বাইন গাছে ভাঁড়া বাঁধা হয়েছে। সারাবছর ধরে এই কাজ চলবে। স্থানীয় গ্রামবাসীদের নজর রাখতে বলা হয়েছে। কেউ যেন পাখিদের বাসা ভেঙে না ফেলে এবং তাদের উত্যক্ত না করে।
এই বিষয়ে তাঁরা পরিবেশ সচেতন কিছু যুবকদের নিয়ে গ্রামে সচেতনতামূলক প্রচারও চালাচ্ছেন।’এমজিএনআরইজিএ’ প্রকল্পর মাধ্যমে মানুষের বাড়ি বানিয়ে দেওয়ার সাথে সাথে পাখিদের স্থায়ী বাসস্থান গড়ে দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি
‘মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ সুনিশ্চিত প্রকল্প’র জেলা আধিকারিক সৌরভ চট্টোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘আমরা স্থানীয় মানুষদের নিয়ে সারা সুন্দরবনে নদীর বাঁধ বরাবর ম্যানগ্রোভ গাছের প্রাচীর গড়েছি কয়েক বছর ধরে। ইতিমধ্যে প্রচুর পাখি কলোনি করা হয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক ঝড়ে তাদের বাসা ভেঙে গিয়েছে। জঙ্গলে তাই কৃত্রিম ভাবে পাখিদের বাসা বানিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584