‘আর হাঁটতে পারছি না’ -কাতর আবেদন শ্রমিকদের

0
60

পিয়া গুপ্তা, উত্তর দিনাজপুরঃ

আর হাঁটতে পারছি না,একটি গাড়ির ব্যবস্থা করে দিন,নইলে রাস্তায় ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের নিয়ে মরতে হবে।বিহারের পূর্নিয়া থেকে কোচবিহারে যাবার সময় পরিযায়ী শ্রমিকদের এমনই কাতর আবেদন। কোচবিহার জেলার বিভিন্ন এলাকার ৪৪ জন তাদের স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে বিহারের পূর্নিয়ায় ইঁট ভাটায় কাজ করতে গিয়েছিলেন।

workers | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

লকডাউনের কারণে দীর্ঘদিন যাবৎ ইঁট ভাটা বন্ধ হয়ে গেছে। বেশ কিছুদিন সেখানে নিজেদের খরচা চালানোর পর হাতে আর টাকা পয়সাও নেই শ্রমিকদের। স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে তাদের একপ্রকার অনাহারেই দিন কাটছিল। তাই বাধ্য হয়েই বাড়ি ফিরে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সংসারের সমস্ত জিনিসপত্র নিয়ে হেঁটেই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ করোনা আতঙ্কে বন্ধ সূর্যপুর হাট

একদিকে না খাওয়া অন্যদিকে মাথায় বড় বড় টোপলা নিয়ে হাঁটতে পারছেন না এই পরিযায়ী শ্রমিকরা। প্রতিটি পরিবারেই একজন দুইজন ছোট ছোট বাচ্চা আছে। গতকাল উত্তর দিনাজপুর জেলার পুলিশ তাদের দেখতে পেয়ে ডেকে নিয়েছিল। কিন্তু ডাকাই সার। কোন রকম সাহায্য ছাড়াই তাদের ফাঁড়ি থেকে বের করে দেয়।

কিছুদূর এগিয়ে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে একটি পেট্রোল পাম্পে জল আর বিস্কুট খেয়ে রাত কাটিয়েছেন তারা। ভোর হতেই আবার হাঁটা দিয়েছেন।ইসলামপুর পৌঁছে আর হাঁটতে পারছেন না। প্রশাসনের কাছে তাদের কাতর আবেদন একটা গাড়ি দিয়ে তাদের সাহায্য না করলে রাস্তাতেই তাদের মৃত্যু হবে। শ্রমিকের আবেদন আদৌ কি প্রশাসনের নজরে আসবে? নাকি এভাবেই তাদের বাড়ি ফিরে যেতে হবে !

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here