নিজস্ব সংবাদদাতা,দার্জিলিংঃ
বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা নাগাদ কলকাতা থেকে বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছান সদ্য তৃণমূল কংগ্রেসে ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানকারী বিধায়ক মিহির গোস্বামী।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মিহির গোস্বামী বলেন যে, “আমি ভারতীয় জনতা পার্টির আদর্শে বিশ্বাস করে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করে বিজেপিতে যোগদান করেছি। দিল্লিতে বিভিন্ন দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করেছি। এরপর কলকাতায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়ে সঙ্গেও দেখা করে আলোচনা করে আমাদের কোচবিহার জেলা সাংসদ নিশীথ প্রামাণিককে সঙ্গে নিয়ে ফিরে এলাম এখানে। এরপর জেলাতে ফিরে যাচ্ছি। জেলাতে গিয়ে জেলা নেতৃত্ব ও রাজ্য নেতৃত্ব যেভাবে নির্দেশ দেবে সেই ভাবেই কাজ করবো।”
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন যে, “পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়ন করতে গেলে বিশেষ করে অবহেলিত উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন করতে হলে ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজীর হাত ধরে বাংলার উন্নয়ন তথা উত্তরবঙ্গ ও কোচবিহার জেলায় উন্নয়নের কাজ করতে চাই। স্বাধীনতার পর কলকাতা কেন্দ্রীক নেতা কখনই উত্তরবঙ্গ তথা আমার জেলা কোচবিহার জেলার সার্বিক উন্নয়নে সদর্থ ভূমিকা পালন করেনি।
আর উত্তরবঙ্গে যে অর্থে উন্নয়ন হবার কথা ছিল যদি সেই অর্থে উন্নয়ন হতো তাহলে উত্তরবঙ্গের আটটি জেলার মধ্যে কোন জেলা থেকে পাঁচ লক্ষ আবার কোন জেলা থেকে তিন লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক তৈরি হতো না। আমাদের কাজ কোথায়? টোল দিয়ে বাঁচতে চাইনা, ভিক্ষা চাই না, কাজ চাই। আমাদের কৃষিপ্রধান এলাকা উত্তরবাংলা। তিস্তা সেচ প্রকল্প তা কি আজও পূর্ণতা লাভ করেছে? তাই আওয়াজ তুলতে হবে।
আরও পড়ুনঃ নয়া কৃষি আইন প্রত্যাহার না করলে দেশজুড়ে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি মমতার
আর আমরা সেই আওয়াজ তুলতে চাই উত্তরবাংলা থেকে। আর আমি একজন তৃণমূলের ক্ষুদ্রকর্মী ছিলাম, আমার যে প্রয়োজনীয়তা ছিল দলের কাছে তা ফুরিয়ে গেছে।”অপরদিকে কোচবিহার জেলার বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক বলেন যে, “গত ২৭ তারিখ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের যে শেষের শুরু তা দিল্লি থেকে শুরু হয়ে গেছে।
আরও পড়ুনঃ বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠা দিবস ও মেট্রো উদ্বোধনে সামিল হতে বঙ্গ সফরে মোদী
আপনারা একের পর এক দেখতে পারবেন উত্তরবঙ্গ থেকে শুরু করে রাঢ়বঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গে পিসি ভাইপোর সরকারে একেবারে বাংলার মানুষের সঙ্গে সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের যারা বলিষ্ঠ নেতৃত্ব বিধায়ক আছেন তারা বিরক্ত হয়ে আমাদের দলে যোগদান করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এবং খুব শীঘ্রই দেখতে পারবেন সেইটা। আর পশ্চিমবঙ্গের মাটি থেকে তৃণমূল কংগ্রেস ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবে।”
আরও পড়ুনঃ রাজ্যের সাড়ে ৯ লক্ষ পড়ুয়াকে দেওয়া হবে ট্যাব, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
শুভেন্দু অধিকারী প্রসঙ্গে তিনি বলেন যে, “শুভেন্দু অধিকারী একজন অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা। আর আজকের দিনে যে মমতা ব্যানার্জীকে দেখছি সেই মমতা ব্যানার্জীকে ব্র্যান্ড মমতা ব্যানার্জী এই শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরেই হয়েছে। তাই বলবো শুভেন্দু অধিকারী যদি আমাদের দলে আসে তাহলে আমাদের দল আরও বেশি সমৃদ্ধ হবে।”এরপর দুজনেই সড়ক পথ দিয়ে সোজা চলে যান কোচবিহারের উদ্দেশ্যে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584