নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রামঃ
প্রতিবছর ৭ জানুয়ারি লালগড়ের নেতাই গ্রামে নেতাইয়ের শহীদ বেদীতে মাল্যদান করার জন্য ছুটে আসেন শুভেন্দু অধিকারী । কিন্তু এই বছর শহীদ বেদীতে মাল্যদান করার পর নেতাই গ্রামের মধ্য দিয়ে হেঁটে গিয়ে নেতাইয়ের কমিউনিটি হলে গ্রামবাসীদের নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেছিলেন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। সেদিন কেউ কাজের জন্য দাবি জানান, কেউ আবার বাড়ি।
৭ জানুয়ারি আলোচনার পর কথা রাখলেন শুভেন্দু। গ্রামবাসীদের হাতে এদিন নেতাই শহীদ স্মৃতিরক্ষা কমিটির ব্যবস্থাপনায় নেতাই শহীদ স্মৃতিরক্ষা বেদীর কাছে ৫২ জন মহিলার হাতে সেলাই মেশিন এবং ১৭ জন পরিবারের হাতে নতুন বাড়ির চাবি তুলে দেন।
কিছুদিন আগেই করোনাজয় করে সুস্থ হয়েছেন শুভেন্দু, তাই এদিন তিনি দীর্ঘক্ষণ বক্তব্য রাখেননি বিশেষ কিছু কথা বলেই তার বক্তব্য শেষ করেন। এদিন তিনি প্রথমে শহীদ বেদীতে মাল্যদান করে মঞ্চে কিছুক্ষণ বক্তব্য রাখার পর কাউকে বাড়ির চাবি, কাউকে সেলাই মেশিন এবং শহীদ পরিবারকে পূজার নতুন বস্ত্র উপহার হিসেবে তুলে দেন। একটি নতুন বাড়ির উদ্বোধন করেন তিনি।
শুভেন্দু এদিন বলেন, এবছর যখন শহীদ বেদিতে পুষ্পাঞ্জলি দিতে এসেছিলাম তখন দেখেছিলাম শহীদ পরিবার, আহত পরিবার যারা কেসে সাক্ষী দিচ্ছে তাঁদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ। সেদিন প্রোগ্রাম শেষ করে তাঁদের নিয়ে এখানকার কমিউনিটি সেন্টারে আলোচনায় বসি সেদিন আমি প্রত্যেকের বক্তব্য নোটডাউন করে ছিলাম।
সেদিন আট জন কর্মসংস্থানের কথা বলেছিলেন। আমি পাঁচ জনের ছোটখাটো কাজের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। তিন জনের বয়সের জন্য করতে পারিনি তাঁদের নিয়ে আমি পরে ভাববো। সেদিন আমি ৫৯ জন মহিলাকে সেলাই মেশিন দেবো বলেছিলাম পরে আরও দুজন বাড়ে, এদিন মোট ৫২ জনকে সেলাই মেশিন দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ হাসপাতালে মাস্ক বিহীন কৈলাস-মুকুল! বির্তকিত ছবি দেড় বছর আগের দাবি বিজেপির
এখানে অনেকেই বাড়ি পাইনি বলে আমাকে অভিযোগ করেন আমি সতীশ সামন্ত ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট থেকে বাড়ি তৈরি করে দিয়েছি। প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও শহীদ, আহত পরিবারের হাতে পুজোর নতুন বস্ত্র উপহার হিসেবে তুলে দেবো।
সেলাই মেশিন পেয়ে নেতাই গ্রামের বাসিন্দা সবিতা ঘড়াই বলেন, সেলাই মেশিন পেয়ে খুবই ভালো লাগছে কিন্তু তো কাজ বিশেষ কিছু জানিনা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দিলে খুবই ভালো হয়। এছাড়াও চিত্ত দাস নামে নেতাই গ্রামের এক বাসিন্দা নতুন বাড়ি পেয়ে তিনি বলেন, খুবই ভালো লাগছে দাদা আমাদের জন্য অনেক কিছু করেছেন, এইভাবেই সারাজীবন দাদাকে পাশে পেতে চাই।
আরও পড়ুনঃ শেষ মুহূর্তে দুর্গাপুজো নিয়ে সোমবার জরুরি বৈঠক মুখ্যসচিবের
শুভেন্দু অধিকারী ৭ জানুয়ারি নেতাই গ্রামে পৌঁছলে তৃণমূলের মেদিনীপুর ঝাড়গ্রাম জেলার প্রথম সারির সমস্ত নেতা নেত্রীরা উপস্থিত থাকে। কিন্তু এদিন কেবলমাত্র শুভেন্দু অনুগামীছাড়া আর তেমন কোন তৃণমূল নেতার দেখা পাওয়া যায়নি।
যদিও এদিন নেতাই ঢোকার পথে বা নেতাই শহীদ স্মৃতি রক্ষা কমিটির মঞ্চের পাশাপাশি কোন তৃণমূলের দলীয় পতাকা দেখা যায়নি। এদিন শুভেন্দু বলেন, আমাকে আমার লক্ষ্য থেকে, আমার কর্মপদ্ধতি থেকে, আমার দায়বদ্ধতা থেকে কেউ সরিয়ে দিতে পারেনি, ভবিষ্যতেও পারবে না।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584