আনিসুর রহমান, কোলকাতা
পশ্চিমবঙ্গে সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত মাদ্রাসাগুলোয় শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ হয়ে আছে প্রায় চার বছর ।শিক্ষকের অভাবে মাদ্রাসাগুলির পড়াশুনা লাটে উটেছে।বহুপ্রাচীন একটি স্বতন্ত্র শিক্ষাব্যবস্হা চরম সংকটের মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে। ফলস্বরূপ রাজ্যের সংখ্যালুঘু সম্প্রদায় মাদ্রাসায় শিক্ষাগ্রহনের প্রতি আস্থা হারাচ্ছে। কারন বহু মাদ্রাসা আরবি,বিজ্ঞান,ইংরাজি শিক্ষকহীন। এভাবেই শিক্ষাগ্রহন করতে বাধ্য হচ্ছে মাদ্রাসার প্রায় আট লক্ষ পড়ুয়া। সংখ্যালুঘু মধ্যে তীব্র ও সুপ্ত ক্ষোভের সঞ্চার হয়ছে। তারই একটি দিক প্রকাশ পেল আজ সংখ্যালুঘু দপ্তরের প্রতিমন্ত্রীকে ফোরামের ডেপুটেশনের মাধ্যমে।বিষয়টা এমনভাবে জট পেঁকে আছে যে, দপ্তরের স্বাধীন পূর্ণমন্ত্রীও এখন পর্যন্ত কোন প্রতিক্রিয়া দেননি সংবাদমাধ্যমে। অাইনি জটিলতা শেষ পর্যন্ত সুপ্রিমকোর্ট গড়িয়েছে।
দীর্ঘ দুইবছর সুপ্রিমকোর্টের মামলা চলাকালীন ষষ্ঠ মাদ্রাসা সারভিস কমিশনের পরীক্ষার ফল প্রকাশ পেয়েছে গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে।তারপর কমিশন নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়ে একধাপও অগ্রসর হয়নি।কমিশনের এমন গাছাড়া মানসিকতা দেখে বেঙ্গল মাদ্রাসা এডুকেশন ফোরাম আবার কলকাতা হাইকোর্টে দারস্হ হয়।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত মাসে ১১ তারিখে মহামান্য কলকাতা হাইকোর্টে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিসনকে সিলেকেশন প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়।কমিসন কখনো আইনি পরার্মশ, কখনো পূজাবকাশ ইত্যাদির অজুহাত দেখিয়ে সময় অতিবাহিত করছে।কমিশনের এইরূপ মানসিকতা দেখে ফোরামের এক প্রতিনিধি দল আজ সংখ্যালুঘু প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন।অপরদিকে মামলা চলাকালীন কমিটির মাধ্যমে কিছু শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে।
ফোরামের প্রতিনিধিকে মাদ্রাসা প্রতিমন্ত্রী গিয়াসউদ্দিন মোল্লা জানান,”আগামী ১৫ দিনের মধ্যে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে পাশকরা পরীক্ষার্থীদের ইন্টারভিউ এর ব্যাপারে কমিশন সদর্থক ভূমিকা নিতে চলেছে।কিভাবে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরু করা যায় এ বিষয়ে আগামী ২নভেম্বর কমিশন ইন্টারভিউ সংক্রান্ত মিটিং ডাকা হয়েছে মহাকরণে।”মন্ত্রী আরও জানান কমিশন বাদে কমিটির মাধ্যমে অবৈধ্য শিক্ষক নিয়োগে সরকার কোনো বেতন দেবেনা।
ডেপুটেশনে উপস্থিত পরিক্ষার্থীদের আশ্বাস দিয়ে মন্ত্রী বলেন “আপনারা দু বছর কষ্ট করেছেন, আর পনেরো দিন অপেক্ষা করুন”
ডেপুটেশন থেকে বেরিয়ে
ফোরামের রাজ্য সভাপতি ইসরারুল হক মন্ডল বলেন,”মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী সংখ্যালুঘু বিষয়ে আন্তরিক এবংআশাকরি সরকার কমিশনের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগে সদর্থক ভূমিকা নিবে” প্রতিনিধি দলে ছিলেন ফোরামের রাজ্য সভাপতি ইসরারুলহক মন্ডল,সম্পাদক- মীর রবিউল ইসলাম, অাবু তাহের খান সামা,মোহা: কাইসার রশিদ, মীর শমীম উদ্দিন,জুহাই সেখ, মোহা: জাবিউল্লাহ,পারভেজ খান প্রমুখ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584