মনিরুল হক, কোচবিহারঃ
এবার সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যরা তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করতে শুরু করল কোচবিহারে। আজ কোচবিহার জেলা কার্যালয়ে সভানেত্রী মালতি রাভার হাত ধরে ৩২ নম্বর মণ্ডলের ১২ টি সংখ্যালঘু পরিবার বিজেপিতে যোগ দেন বলে দাবি করা হয়েছে।
মালতি রাভা জানান, “এদিন সংখ্যালঘু সেলের জেলা সভাপতি সিদ্দিক আলি কোচবিহারের ৪২ টি মণ্ডলের মধ্যে ৩৫ টি মণ্ডল কমিটি ঘোষণা করেন। এর পাশাপাশি ৩২ নম্বর মণ্ডলের ১২ টি পরিবার বিজেপিতে যোগদেন। এতে ওই এলাকায় বিজেপি অনেক শক্তিশালী হবে।”
এই জেলার বাসিন্দা আলি হোসেন বিজেপির সংখ্যালঘু সেলের রাজ্য সভাপতি পদে রয়েছেন। কিন্তু তারপরেও এতদিন সংখ্যালঘুদের মধ্যে সেভাবে সংগঠন বাড়াতে পারেনি বিজেপি। বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন। এই নির্বাচনে জেলার প্রত্যেক কেন্দ্রেই সংখ্যালঘু ভোট অন্যতম ফ্যাক্টর। বাম আমলে সেই ভোটের উপড়ে রাজ করতেন তৎকালীন শাসক দল।
আরও পড়ুনঃ রাজ্যে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীর মুখ ৫ জন, টুইট করে জল্পনা বাড়ালেন দিলীপ ঘোষ
তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসা এবং এখনও পর্যন্ত তাদের গ্রামাঞ্চলে মজবুত সংগঠন থাকার কারণ ওই সংখ্যালঘু ভোট ব্যাংক। আর একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেই ভোট ব্যাংক কতটা নিজেদের পক্ষে নিয়ে আসতে পারে, সেই চেষ্টায় যে বিজেপি সক্রিয় হয়ে উঠেছে, তা এদিনের সংখ্যালঘু ভোটারদের যোগদান কর্মসূচীতেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুনঃ মন্ত্রিত্ব পদ ছাড়তেই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে একাধিক মামলায় তদন্তপ্রক্রিয়া শুরু সিআইডির
এদিকে বাংলার নির্বাচনে এবার মিমের পক্ষ থেকেও প্রার্থী দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। মিম প্রার্থী দিলে সংখ্যালঘুদের অনেকটা ভোট কেটে নিতে সক্ষম হবে মিম। আর সেই সুযোগে বিজেপির জেতার সম্ভাবনা আরও বাড়বে।
তারপরেও যদি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোট কিছুটা হলেও নিজেদের পক্ষে আনতে সক্ষম হয় বিজেপি, তাহলে জয় নিয়ে আর কোন সংশয় থাকবে না বলে কোচবিহারের অনেক বিজেপি নেতাই মনে করেন। আর সেই কারণেই তাদের এই সক্রিয়তা বলে মনে করা হচ্ছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584