হারিয়ে যাওয়া পূজার গান

0
277

তপন চক্রবর্তী, ডেস্কঃ

দুর্গা পুজো আগেও ছিল এখনো প্ৰতি বছর হয়ে থাকে।কিন্তু এখন যে দুর্গা পূজা হয় সেই দুর্গা পূজা যে আসছে তার আগমনীর গন্ধ নানা ভাবে অনুভব করা যেত।দুর্গা পূজা মানে আট থেকে আসি বছরের সবারই কিছু না কিছু চাওয়া পাওয়া।দুর্গা পূজার অনেক আগে থেকেই যেমন সঙ্গীত প্রেমী মানুষদের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়ে যেত তেমন পূজায় এই রাজ্যের স্বনামধন্য সঙ্গীত শিল্পীরা কে কেমন পূজা সংখ্যার গান বেঁধে সঙ্গীত পিপাসুদের মন জয় করবে সেটার জন্যও অপেক্ষা চলত,কিন্তু সেই সংস্কৃতির অনেকটাই বদলে গেছে।পূজার আগে যেমন সঙ্গীত পিপাসুরা ক্যাসেটের দোকানে গিয়ে খোঁজ নিত,পূজা সংখ্যায় স্বনামধন্য শিল্পীদের আধুনিক ক্যাসেট আসতে আর কত দেরি এই প্রশ্ন শোনা যেত।পূজা সংখ্যার গানের জন্য দুর্গা পূজার এক দের মাস আগে থেকেই মনটা ছটফট করে থাকতো।তবে এখন যেন আর পূজা সংখ্যার গানের জন্য মন ছটফট করতে দেখা যায়না।এখন কে পূজার গানের এলবাম করেছে একবারের জন্যও মনে এসবের কোন প্রশ্ন নেই।আমাদের মনটার কোন এক অদৃশ্য কারণেই
যেন আমূল পরিবর্তন ঘটে গেছে।আমাদের প্রিয় সঙ্গীত শিল্পী মান্না দে,মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়,শ্যামল মিত্র,সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়,প্রতিমা বন্দোপাধ্যায়,নির্মলেন্দু চৌধুরী,সবিতা চৌধুরী,হেমন্ত মুখোপাধ্যায়,তরুণ বন্দোপাধ্যায়,পিন্টু ভট্টাচার্যের গান শুনবার জন্য আমরা প্রতি রবিবার বেলা আড়াইটার সময় অনুরোধের আসর শুনবার জন্য তড়িঘড়ি রেডিওর সামনে গিয়ে বসতাম পূজার গান শুনবো।কিন্তু সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে এখন রেডিওর ধারে কাছে যাই না।সেই সব পূজার গন্ধ আর পাওয়া যায়না।দেখা যায়না বেতার জগৎ।যার মধ্যে দেখতে পেতাম স্বনামধন্য শিল্পীদের ছবির সাথে পূজার গানের পসরা।এখন কাওকে বলতেও শোনা যায়না ।কি করে কি ভাবে এসবের পরিবর্তন হয়ে গেল।পুজোতে সেই আগের মতই দিব্যি আছে তাহলে এসব গেলো কোথায়?আমাদের সেই আগের সঙ্গীত প্রেমী বন্ধুদের মুখেও একবারের জন্যও বলতে শোনা যায়না সেই প্রাণ জুড়ানো পূজা সংখ্যার গানের কথা,শোনা যায়না সেই হারিয়ে যাওয়া বেতার জগতের কথা ও অনুরোধের আসরের কথা।আমরা কি আগের সেই পূজার গন্ধকে ফিরিয়ে আনতে পারিনা সুস্থ্য সংস্কৃতির স্বার্থের তাগিদে?আমরা কি পারিনা সুস্থ সংস্কৃতির তাগিদেই প্রতিটি পূজা প্যান্ডেলেই এ রাজ্যের পুরানো দিনের সেই বিখ্যাত শিল্পীদের বাংলা গান গুলি বাজাতে।যা শুনে দুর্গাপূজায় হারিয়ে যাওয়া পূজার গন্ধ আবার ফিরে পেতে পারি।পূজার সময় নাই বা হল পুজার গান কিন্তু যে সমস্ত দিকপাল শিল্পীরা পূজার সময় যে গান গুলি করে গিয়েছিলেন একসময় আমাদের শোনাবার জন্য সেই গান গুলি যদি পুজার সময় প্রতিটি মন্ডপে মন্ডপে বাজে তাহলেও দুধের স্বাদ ঘোলেও মিটানো সম্ভব হতে পারতো,তাই নয় কি?আমরা কিন্তু সবার সহযোগীতায় পূজার আনন্দে পূজার গানকে সঙ্গী করেই পূজায় মেতে উঠতে পারি।

আরও পড়ুনঃ তিতলির তান্ডবে বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here