কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের মেঝেতে গড়াগড়ি খাচ্ছে ১৫টি ভেন্টিলেটর মেশিন

0
44

শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ

কখনো কখনো বহুমূল্য জিনিস পেতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয় আবার সেই জিনিস চট করে হাতে এসে গেলে তার কদর করা হয় না। ঠিক এমনটাই ঘটেছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। করোনা রোগীর শ্বাসকষ্টের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয় ভেন্টিলেটর মেশিন। এমনিতেই রাজ্যে ৮০ টি করোনা হাসপাতালে মাত্র ৩৯৫ টি ভেন্টিলেটর নিয়ে করোনা যুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে রাজ্য।

Calcutta Medical | newsfront.co
প্রতীকী চিত্র

ফলত হাজার হাজার করোনা রোগীকে ভেন্টিলেটর পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য পরিষেবা আরও কিছুটা মজবুত করতে ১৫ টি ভেন্টিলেটর কিনেছিল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। কিন্তু করোনা আতঙ্কে কর্মীরা কাজে না আসায় হাসপাতালের মেঝেতে ধুলোয় গড়াগড়ি খাচ্ছে সেই বহুমূল্য ভেন্টিলেটর মেশিন।

বস্তুত, এক একটি ভেন্টিলেটর মেশিনের দাম প্রায় কয়েক লক্ষ টাকা। তার চেয়ে বড় কথা, করোনা আবহে এই যন্ত্রগুলির বিপুল চাহিদা থাকলেও উৎপাদন তলানিতে ঠেকে গিয়েছে। দেশের কিছু সংস্থা বিভিন্ন রাজ্যে এই যন্ত্র তৈরি করে সরবরাহ করে এবং এমনই একটি সংস্থা থেকে বরাত দিয়ে ওই যন্ত্রগুলি কিনেছিল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। ভেন্টিলেটরগুলি দ্রুত বসিয়ে ফেলতে পারলে অনেক মৃত্যুপথযাত্রী রোগীর প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হত। এমনটাই মনে করছেন চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের একটা বড় অংশ।

আরও পড়ুনঃ দু’বার নেগেটিভ হয়েও শেষবার পজিটিভ হয়ে করোনায় মৃত্যু লালবাজারের পুলিশকর্তার

কিন্তু যন্ত্রগুলি বসানো তো দূরে থাকুক, বরং সপ্তাহখানেকের ওপর ধরে সেগুলি খোলা অবস্থায় পড়ে রয়েছে সুপার স্পেশালিটি ব্লকের গ্রাউন্ড ফ্লোরে। এ প্রসঙ্গে হাসপাতালের এক আধিকারিক বলেন, “ভেন্টিলেটরগুলি বসানোর জন্য দু-একটি বিশেষ ধরনের পাইপের অংশ দরকার। সেগুলি যাঁরা তৈরি করেন ও সরবরাহ করেন, লকডাউন এবং কনটেনমেন্ট জোনের কারণে তাঁরা পাঠাতে পারছেন না। সেজন্যই ওই ভেন্টিলেটর মেশিনগুলি বসাতে দেরি হচ্ছে।” কলকাতা মেডিকেল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান নির্মল মাজিকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “তাড়াতাড়ি বসানো হবে। আমরা সবরকম চেষ্টাই করছি। করোনা পরিস্থিতির জন্য দেরি হচ্ছে।’

আরও পড়ুনঃ রূপ বদলাচ্ছে ‘করোনা’, ঘুম উড়েছে গবেষকদের

প্রসঙ্গত, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিট রয়েছে ৫৩টি, এইডিইউ বা হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিট রয়েছে ৩৫টি। এপ্রিল থেকে সমস্ত ইউনিটে বেড প্রায় অমিল। রোজই কোভিড পজিটিভ হয়ে শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে আসছেন অগুনতি মানুষ। কিন্তু ভেন্টিলেটর খালি না থাকায় ফিরে যাচ্ছেন। অর্ডার দিয়ে দ্রুত নিয়ে চলে আসার পরেও ভেন্টিলেটরগুলি বসাতে না পারায় হতাশ চিকিৎসক- স্বাস্থ্যকর্মীরাও। এ বিষয়ে দ্রুত স্বাস্থ্য দফতরের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here